বলার অপেক্ষা রাখে না, ফি’লিস্তি’ন ও ইস’রায়ে’লের মধ্যে যে ‘যু’দ্ধ’ হচ্ছে সেটা অ’নেকটাই এ’কতর’ফা। ইস’রায়ে’লের শ’ক্তিশালী বিমা’ন হা’ম’লার জবাবে ফি’লিস্তি’নি প্রতিরোধ আ’ন্দোলন হামাসের র’কে’ট তেমন কিছুই নয়। তবে বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে এতটা মো’টা দা’গে দেখছেন না। হার-জিতের বিচারে বি’ভিন্ন দিক থেকে তারা হা’মাসকেও এগিয়ে রাখছেন।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফি’লিস্তি’নে এত বড় হা’ম’লা চা’লায়নি ইস’রায়ে’ল। ২০১৪ সালে স্থ’লভা’গে যে হা’ম’লা চালানো হয়েছিল, তাতেও এত প্রা’ণহা’নির ঘ’টনা ঘ’টেনি। কিন্তু এমন শ’ক্তিশা’লী হা’ম’লার পরও হা’মাস পিছু হটেনি, প্রায় প্রত্যেকটা বি’মান হা’ম’লার জবাবে তারা র’কে’ট ছুঁ’ড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ প্রস্তুতির পর ‘মরণ কামড়’ দিয়েছে হামাস।
ইস’রায়েল বলে আসছে, হা’মা’সের র’কে’ট হা’মলার জবাবেই তারা বি’মান হা’মলা করছে। কিন্তু তাদের এমন বক্তব্য যে ডাহা মি’থ্যা, সেটা জানে বিশ্ব সম্প্রদায়। রমজান মাসের শেষাশেষি বিনা উস্কানিতে ফি’লিস্তি’নিদের ওপর হা’ম’লা শুরু করে ইস’রায়ে’ল। হা’মলা বন্ধ করতে ১০ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় হা’মাস। ই’সরা’য়েল সেই আল্টিমেটাম তোয়াক্কা করেনি। শুরু হয় হামাসের পাল্টা হা’ম’লা।
এই অসম যু’দ্ধে হামাস কি শেষ পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? লন্ডনে গবেষণা সংস্থা চ্যাটাম হাউজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক মোহামেদ এল দাহশান বলেন, এমনটা আশা করা অনেকটা দিবাস্বপ্নের মতো হবে। এই যুদ্ধে হা’মাস শক্তির দিক থেকে দুর্বল হবে বটে, তবে রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে তারা। যা কৌশলগতভাবে বড় অর্জন।
এল দাহশান আরও বলেন এই প্রথমবারের মতো ইস’রায়ে’লের অভ্যন্তরের সাধারণ জনগোষ্ঠিকে তাদের সরকারের (নেতানিয়াহু সরকার) বিরুদ্ধে ক্ষে’পিয়ে তুলতে স’ক্ষম হয়েছে হা’মাস। অন্যদিকে সাধারণ ফি’লিস্তি’নিদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে হামাসের। এত ধ্বংসযজ্ঞের পরও কোনো ফি’লিস্তি’নি এখন পর্যন্ত হা’মাসের দিকে আঙুল তোলেনি।
অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, এই হা’ম’লার ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে ফি’লি’স্তিনিদের মধ্যে যে ঐক্য দেখা যাচ্ছে, সেটা বিরল এবং ভবিষ্যত ফিলি’স্তি’ন রাষ্ট্রের জন্য অনেক দরকারি। এই ঐক্য ইস’রায়েলের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হতে যাচ্ছে।
ইস’রায়ে’লের নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা জে’রুজা’লেম ইন্সটিটিউট অব স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড সিকিউরিটির (জেআইএসএস) গবেষক ড. জনাথন স্পায়ার বলেন, ইস’রায়ে’লের আয়রন ডোম ভেদ করে র’কে’ট হা’ম’লা চালানো যায়, সেটা বোধহয় হা’মাসও আগে জানতো না। এই প্রথম হা’মাস সীমান্ত লড়াইকে তেল আবিবের ভেতরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, এটা অনেক বড় অর্জন।