রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের এক চিকিৎসক কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রোগীর বেড বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে স্থানীয়দের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আটক বেডটি রমেক হাসপাতালে পৌঁছে দেন তারা।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর বুড়িরহাট রোডে ডক্টরস ক্লিনিকের সামনে একটি ভ্যানে করে বেডটি নিয়ে যাবার সময় স্থানীয়রা আটক করে। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম একেএম শাহীনুর রহমান । তিনি হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার।
শাহীনুর রহমান জানান, দেড় মাস ধরে তার মা হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। বর্তমানে তার মাকে কেবিনে রাখা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে নেওয়ার কথা চলছিল। বাড়িতে যাতে বেডে থাকতে অসুবিধা না হয়, একারণে হাসপাতালের স্টোর রুমে পড়ে থাকা একটি পুরাতন বেড মুচলেকা দিয়ে গ্রহণ করেন।
বুধবার বিকালে বেডটি বাড়িতে নিয়ে যাবার পথে স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়াতে তা আটক করে এবং বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। পরে তাদের উপস্থিতিতে বেডটি হাসপাতালে ফেরত দেন।
তিনি বলেন, মানবিক দিক থেকে নিজের মায়ের থাকার সুবিধার কথা চিন্তা করে স্টোর কিপার বেলাল ও ৩০ নং ওয়ার্ড ইনচার্জ মমতাকে অবগত করে মুচলেকার মাধ্যমে বেডটি নিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে জানতে হাসপাতালের স্টোর কিপার বেলাল হোসেন এবং ৩০ নং ওয়ার্ড ইনচার্জ মমতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বেডটি স্যারের (ডা. শাহীনুর) অসুস্থ মায়ের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল। এটা চুরি বা পাচারের মতো কোনো ঘটনা নয়। কারণ বেডটি শাহীনুর স্যারের জিম্মায় ছিল, তাকে ব্যবহারের পর ফেরত দিতে হতো।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, স্টোর কিপার ও ওয়ার্ড ইনচার্জকে অবগত করে ওই চিকিৎসক তার মায়ের জন্য হাসপাতালের পুরাতন একটি বেডটি বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে স্থানীয়রা তা আটক করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে পুরো ঘটনাটি আমি জেনেছি। এ ঘটনার সঙ্গে পাচারের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।