আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা যত সরছে, ততই একের পর এক এলাকা দখল করছে তালিবান। বুধবার পাকিস্তানের সীমান্ত-ঘেঁষা কন্দহর প্রদেশের স্পিন বলডাক শহরের দখল নেয় তারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যদিও আফগান সেনা জানায়, এলাকাটি তারা পুনরুদ্ধার করেছে। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন
তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘এলাকা আমাদেরই। কাবুল প্রশাসনের এই দাবি ভিত্তিহীন। প্রচার কৌশল মাত্র।’’ বৃহস্পতিবার তালিবানের দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে পাকিস্তানও। মে মাসের শুরুতে আফগানিস্থান থেকে সেনা সরানো শুরু করেছে আমেরিকা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। তার পর থেকে দেশ জুড়ে সক্রিয়তা বেড়েছে তালিবানের। ইতিমধ্যে ইরান সীমান্তে ইসলাম কালা ও তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত-ঘেঁষা টোরঘুন্ডি শহরের দখল নিয়েছে তারা।
গজনিতেও তালিবান আগ্রাসনের মুখে পিছু হয়েছে আফগান প্রশাসন। এ বার তারা পাক সীমান্ত বরাবর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর স্পিন বলডাকের দখল নেওয়ায় আশঙ্কার মেঘ দেখছে পাকিস্তান। উত্তেজনার আঁচ এড়াতে স্পিন বলডাকের মুখোমুখি চমন এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
সীমান্তবর্তী এই শহরগুলি আফগানিস্তানের জাতীয় আয়ের অন্যতম উৎস। তাই এগুলোকেই প্রাথমিক ভাবে জঙ্গিরা নিশানা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে অবশ্য ‘ভুল’ বলেই মনে করেন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
বুধবার জার্মানির একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও সহমত পোষণ করবেন বলেই তিনি আশা রাখেন। ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়েছিলেন জর্জ বুশই।
প্রায় দু’দশক পরে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান বাইডেন সরকার। এ প্রসঙ্গে বুশ বলেছেন, ‘‘সেনা সরানোর ফলে আফগান মহিলাদের অবর্ণনীয় ক্ষতি হবে। নৃশংস লোকগুলোর হাতে সাধারণ মানুষকে বলি হতে হবে এ কথা ভেবেই আমার মন ভেঙে যাচ্ছে।’’