পাওয়ার হিটিংয়ের তকমা গায়ে লাগিয়ে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে খেলতে নেমে দেখিয়েছিলেন বাড়তি নাম পাওয়ার সার্থকতা।
গত ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে হারারেতে বাংলাদেশের হারের দিনে আশার আলো হয়ে যেন নতুন দ্বার উন্মোচন করলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তখন থেকেই ধারনা করা হয় এই ছেলেই হবে ভবিষ্যৎ কান্ডারী।
অঘোষিত ফাইনাল। যে দল জিতবে, তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি হাতে তুলবে। এমন এক ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের কঠিন এক লক্ষ্য ছুড়ে দিল জিম্বাবুয়ে। টাইগাররা কি পারবে? শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত শঙ্কা কাটেনি।
তবে হারারেতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশই। ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া পেরিয়ে গেছে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
আজ সিরিজ জয়ের শেষ ম্যাচেও ছিল শামীমের পাওয়ার হিটিং ব্যাটিং প্রদর্শনী। শেষ মুহুর্তে তার ব্যাটিংয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ১৫০ রানে যখন ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ৩ ওভারে ৩৭ রান তুলেন মাহমুদউল্লাহ আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী। খেলা তখন অনেকটাই হাতে চলে এসেছে টাইগারদের। ৯ বলে দরকার ৭। এমন সময়ে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ (২৮ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩৪)।
তবে শামীম পাটোয়ারী দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। ১৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
নতুন খবর হচ্ছে, এই কির্তি তার নতুন নয় একবার লীগ খেলতে গিয়েও এমন তান্ডব চালিয়েছেন শামীম পাটোয়ারী। ছক্কা মেরে ছয়টি বল হারানোর পর শামীমকে থামিয়ে আয়োজকরা বলেছিলেন, আর বল নেই। শামীমের উঠে আসার গল্পও শোনিয়েছেন তার ছোটোবেলার কোচ।