নায়িকা পরিমণি ইস্যুতে বিশিষ্ট চিত্র’নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেছেন, ‘পরীমনিকে নিয়ে ছবি করার অনেক শখ ছিল। মেয়েটা দেখতে সুন্দর, ফিগার ভালো। কিন্তু এখন যদি কোনো প্রযোজক পরীমনিকে নিয়ে ছবি করতে বলে আমি বলব, না,
ওর কাছে যাবো না। ওর ইমেজ’ শেষ। ওকে দেখে আর কেউ টিকিট কাটবে না। ওর অনেক কিছু জেনে গেছে, অনেক কিছু দেখে ফেলেছে মানুষ। কত নোংরা ছবি ফেসবুকে আসতেছে’। এ’গুলোর পর ওর ইমেজ আর আছে নাকি? সম্প্রতি এফডিসি চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে একটি অনলাইন টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎ’কারে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় পরী’মনির গভীর রাতে ক্লাবে গিয়ে মদ খাওয়া ও ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন ঝন্টু’।
গভীর রাতে পরীমনির ক্লাবে যাওয়া ও মদ খাওয়া প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘মদ খায় কেন একটা মেয়ে? বয়স কত? ২৫ বছরও তো হয় নাই! ওর পক্ষে কথা বলার মুখই তো আমাদের নাই। আমি যে ওর পক্ষে কথা বলব, কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে যে, রাত ১২টার সময় মদ খেতে ক্লাবে যায় কেন আপনাদের মেয়ে, ক্লাবে গিয়ে নাচা’নাচি আর ভাঙ’চুর করে কেন? এটার উত্তর আমি কী দেব? এর উত্তর তো আমার কাছে নাই। উত্তর একটাই, স্যরি।
পুরোনো জনপ্রিয় নায়িকাদের উদাহরণ টেনে ঝন্টু বলেন, ‘আমাদের দেশে পরীমনির চেয়েও অনেক ভালো নায়িকা সাবানা, ববিতাসহ আরও যারা ছিল, তারা কি কখনো ড্রিংকস করেছে? রাত ১২টার সময় ক্লাবে গেছে?
তাহলে পরীমনি যায় কেন?’ এ প্রজন্মের মাহিয়া মাহি ও শবনম বুবলীদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদের সম্পর্কে তো কিছু শুনি না। পরীমনির নামে এতকিছু শুনি কেন? দোষটা কার? আমি তো বলব, ও দোষ না করলেও দোষ ওরই’।
তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার মানুষদের এমনিতেই বেশির’ভাগ মানুষ পছন্দ করেন না। অন্য চোখে দেখেন। সেসব মানুষদের ভাবনাটাকে আমাদের মেনে নিতে হবে। তার মধ্যে পরীমনির বিষয়ে যা শুনতেছি, সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমরা লজ্জা পাই।
সে গভীর রাতে ক্লাবে গিয়ে নাচানাচি করে, মদ খেয়ে পড়ে থাকে। এটা আমাদের কাছে লজ্জার ব্যাপার। ওর সম্পর্কে অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু বলব না। কারণ সেটা আমাদের ঘাড়েই পড়বে, আমাদের মেয়ে।
এই চিত্রনাট্যকার আরও বলেন, ‘নায়িকাদের দর্শক স্বপ্নের নায়িকা মনে করে। কিন্তু স্বপ্নের নায়িকার সবকিছু যদি ফেসবুকেই দেখা যায়, তাহলে তো স্বপ্নটা শেষ। স্বপ্নের ঘুম ভেঙে গেছে। তাই, যে নায়িকা চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেয় না, সে অন্য’খানে প্রধান্য দিচ্ছে ডেফিনেটলি।’চলচ্চিত্রটাকে পরীমনি একটা সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে বলেও মন্তব্য করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।