দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে অস্ট্রেলিয়ার সব শর্ত মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আশঙ্কা ছিল কোনো একটি সমস্যা দেখলেই যদি বেঁকে বসে অস্ট্রেলিয়া। যদি সফর বাতিল করে দেয় তারা!
যে কারণে করোনাবিষয়ক অস্ট্রেলিয়ার সব শর্ত মেনে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার দাবিতে বিমানবন্দর থেকে টিম হোটেল আর ভেন্যু শেরে বাংলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তাদের নিয়মের বলি হয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। সময় মতো কোয়ারেন্টিনে না থাকতে পারায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন এ দুই তারকা। এমনকি একই কারণে মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে মিরপুর গ্রাউন্ডের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে।
এবার নিষিদ্ধ করা হলো ক্যামেরা ক্রুদের। ম্যাচের সময় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়, দুই আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির বাইরে আর কারও উপস্থিতি চাচ্ছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
আর অস্ট্রেলিয়ার সেই অদ্ভূত আবদার মানল বিসিবি। সে হিসেবে বেশ কিছু অভিনব নতুনত্ব নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যা এর আগে ক্রিকেট ইতিহাসে দেখা যায়নি।
অর্থাৎ খেলার দিন প্রথমবারের মত মাঠের ভেতরে কোন ক্যামেরা ক্রু’ থাকতে পারবেন না। আউটফিল্ডে কোন টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা যাবে না। মাঠের ভেতর উইকেটের নিচে মাটি খুঁড়ে স্থাপিত ক্যামেরা ছাড়া আর একটি ম্যানুয়াল ক্যামেরাও স্থাপন করা যাবে না। তাহলে টিভির পর্দায় খেলা দেখা যাবে কি করে?
জানা গেছে, স্টেডিয়ামের চারিদিকে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ও বিভিন্ন গ্যালারিতে বসানো হবে ক্যামেরাগুলো। গ্যালারিতে বসেই তা অপারেট করবেন ক্যামেরা ক্রুরা। এজন্য ক্যামেরার জুম টেকনলজির বিশেষ ব্যবহার করতে হবে তাদের।
তবে টস, ব্যাটসম্যানের মাঠে ঢোকা ও আউটের পর সাজঘরে ফেরার দৃশ্য এবং খেলোয়াড়দের ক্লোজ শট কী করে নেবেন ক্যামেরা ক্রুরা সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়া এমন সব শর্ত মানার বিষয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, খালি চোখে এক-আধটু অতিরঞ্জিত মনে হলেও বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এটাই স্বাভাবিক। এভাবেই ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে হবে।