ক্রিকেট দল খারাপ খেললে যে শুধু বাংলাদেশের মিডিয়ায় সমালোচনা হয় তা কিন্তু নয়। অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া এ ক্ষেত্রে এককাঠি এগিয়ে। বাংলাদেশের কাছে টানা দুই টি-টোয়েন্টি হারের পর অজি মিডিয়ায় তাদের দল এবং বোর্ডকে সমালোচনায় জর্জরিত করা হচ্ছে। শুধু ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যারন ফিঞ্চকে ছাড়া সফরে এসে অস্ট্রেলিয়া দল যে এভাবে ভেঙে পড়বে- তা কেউ মানতে পারছে না।
পূর্ণশক্তির বোলিং অ্যাটাক নিয়ে এসেও গত দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে অজিরা ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ দৈনিক ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ লিখেছে, ‘গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ছেলেদের জাতীয় দলের কোনো সিরিজ ব্ল্যাকআউট করা হয়েছে। মানে অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রচার করা হচ্ছে না। সেটি আসলে সফরকারী দলের খেলা দেখার লজ্জা পাওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। কারণ তাদের খেলা এতটাই বিরক্তিকর যে ঘরে বসে কেউ দেখতে চাইবে না।’
মুশফিকুর রহিমকে এই সিরিজে খেলাতে আপত্তি করেছিল অস্ট্রেলিয়া দল। যে কারণে তিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে পারেননি। তার জায়গায় দারুণ করছেন নুরুল হাসান সোহান। এই বিষয়টার সমালোচনায় ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ লিখেছে, ‘নুরুল উইকেটকিপিং করছে কারণ ওই পজিশনে বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিমকে জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। মুশফিকের বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই কাণ্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিকল্প খেলোয়াড়রা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বাংলাদেশের বিকল্প খেলোয়াড়রা সামনে থেকে লড়েছেন।’
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের জয়ে ব্যাট হাতে অন্যতম অবদান রেখেছেন নুরুল হাসান সোহান। দুই ম্যাচেই তার কিপিংও ছিল দুর্দান্ত। যে মিচেল স্টার্ক- জশ হ্যাজেলউডদের নিয়ে সব দল শঙ্কায় থাকে; বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের কাছে তারা পাত্তাই পাচ্ছেন না।
তাই ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ শিরোনাম করেছে-২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের কাছে দ্বিতীয় হারে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরিকল্পনা ভুল পথে এগোচ্ছে।’ এ ছাড়া ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’র শিরোনাম ‘অচেনা কন্ডিশনে বাঘের কামড় টের পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।’