মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এই মুহূর্তে রিমান্ডে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। চারিদিকে তাকে নিয়ে নানা আলোচনা, সমালোচনা চলছেই। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পরীমনি নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতার প্রবীণ অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি কলকাতার দৈনিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরীমনিকে নিয়ে বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করেছেন তিনি।
২০১৬ সালে পরীমনি ‘রক্ত’ নামে একটি ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ওই ছবিতে টলিউড অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। পরীমনির সঙ্গে একটি নাচের দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল তাকে। অথচ ওই একটি মাত্র ছবির একটি মাত্র দৃশ্যে পরীমনির সঙ্গে পর্দা ভাগ করে তিনি যে ভাষায় তার নিন্দা করলেন, তা অবাক হওয়ার মতো!
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশি নায়িকার প্রসঙ্গ উঠতেই ওপার বাংলার প্রবীণ এই অভিনেতা বলেন, ওর (পরীমনি) মতো মহিলার সঙ্গে পর্দা ভাগ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না! নাচের একটি দৃশ্যে এক ফ্রেমে ছিলাম। এই পর্যন্তই!’ কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানার প্রসঙ্গ টেনে বিপ্লব বলেন, ‘শাবানা আক্ষরিক অর্থেই একজন ভদ্রমহিলা। ওঁনার স্বামীর সঙ্গেও আলাপ আছে। তারকা দম্পতির কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু পরীমনিকে আমি মহিলার বাইরে অন্য কিছু বলতে রাজি নই।’
মাত্র একটি ছবিতে একটি নাচের দৃশ্যে অভিনয় করে কীভাবে বিপ্লব বুঝেছিলেন যে, পরীমনি ‘ভদ্র’ নন? অভিনেতার দাবি, তিনি পরীমনি সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছেন। যা তার ভালো লাগেনি। বিপ্লবের দাবি, ‘সব রটনাই মিথ্যা নয়। কিছু না থাকলে এক জনের নামে এত বদনাম শোনা যায়!’
তিনি কি কখনো পরীমনির বাসায় এসেছেন? বিপ্লব বলেন, ‘রক্ত’ ছবির শুটিং হয়েছিল কলকাতায়। তাই বাংলাদেশে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কাজের সূত্রে গেলেও তিনি পরীমনির বাড়িতে যাননি। তিনি বলেন, ‘কখনও কোনো বাচ্চা ছেলে আমার কাছে আসতে চাইলে তার মা এই বলে আটকেছেন, ‘যেও না। ও খুব দুষ্টু লোক। সেই বদনামের ভয় আমার।’
বিপ্লবের দাবি, কলকাতার একাধিক অভিনেতা বাংলাদেশে আসলে পরীমনির সঙ্গে দেখা করতে যান। তবে তাদের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। আগামী দিনে পরীমনি যদি সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান, তাহলে কি তার সঙ্গে অভিনয় করবেন? বিপ্লবের জবাব, ‘অভিনয় আমার পেশা। সেখানে আমি চূড়ান্ত পেশাদার। কাউকে নিয়ে কোনো ছুঁৎমার্গ নেই আমার।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় বিপুল মাদকসহ পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় প্রথমে নায়িকাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।