ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিতে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পরীমনিকে একনজর দেখতে আদালত প্রাঙ্গণে এসেছিলেন নানা শামসুল হক। কিন্তু নাতনিকে দূর থেকে দেখার সুযোগ হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিন দুপুরে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে যখন পরীমনিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন নানাকে দেখে চিৎকার করে কথা বলার চেষ্টা করেন। চিৎকার করে নানা নানা বলে ডাকেন। পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলার সুযোগ দেননি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে আসেন নানা শামসুল হক গাজীকে। তিনি বলেন, আমি ছাড়া ওর কেউ নাই। আদালতে এসেছি নাতনির সঙ্গে দেখা করতে।
এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নানা শামসুল হক। কথা মুখে আটকে যায় তার। শতবর্ষী শামসুল বলেন, পরীমনি খুব ছোটবেলায় তার মাকে হারায়। একটু বড় হয়ে বাবাকে হারিয়ে সে পিরোজপুরে আমার কাছে বড় হয়।
গত বৃহস্পতিবার পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়। আজ তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসা থেকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে।