‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকে বাবা-মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সম্রাট মুখোপাধ্যায় এবং ঋত্বিকা সেন। সম্রাট যে চরিত্রে অভিনয় করতেন তার নাম ছিল সাগর সেন। তাঁর মেয়ে মিলির চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন বছর নয়ের ঋত্বিকা সেন। ১২ বছর পরে পর্দায় ফিরলেন তাঁরা। একটি গানের ভিডিওতে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে।
দিন কয়েক আগে ‘সাগর’ নিজেই ফেসবুকে জানিয়েছিলেন ঋত্বিকার সঙ্গে জুটি বাঁধার কথা। তাঁর সঙ্গে একাধিক ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘ঋত্বিকার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করতে পেরে খুব ভাল লেগেছে। আবার বেশ মজাও লেগেছে।’ কিন্তু সম্রাটের ‘মেয়ে’ থেকে ‘স্ত্রী’ হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ঋত্বিকার? কতটাই বা বদলাল সমীকরণ?
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋত্বিকা বললেন, ‘প্রস্তাবটা পেয়ে প্রথমে চমকে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় মানুষ এখনও সাগর সেন এবং মিলিকে একই ভাবে মনে রেখেছেন। কিন্তু অভিনেতাদের কাজই নানা চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া।’ তবে এমন অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে ঋত্বিকার।
একটু থেমে বছরের হিসেব করে তিনি বললেন, “২০০৭ সালে ‘বর আসবে এখুনি’ ছবিতে যিশুদার সঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। তখন আমার ৭ বছর বয়স। আবার ‘আরশিনগর’-এ সেই যিশুদার সঙ্গেই প্রেম করেছি।” কথা শেষ না হতেই হেসে উঠলেন ‘মিলি’।
১২ বছর আগের স্মৃতি এখনও স্পষ্ট ঋত্বিকার মনে। ফলে যাঁকে বাবা ডাকতে হত, তাঁর সঙ্গেই আবার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে খানিক ইতস্তত বোধ করছিলেন। “রোম্যান্টিক দৃশ্যে মনে হত সম্রাটদা আমার অভিব্যক্তি দেখে কী ভাবছে! মনে হচ্ছিল সামনে বাবা দাঁড়িয়ে আছে। বেশ লজ্জাই লাগছিল। সেটা বারবার সম্রাটদাকে বলছিলাম”, সম্রাটের সঙ্গে নতুন রসায়ন বর্ণনা করতে গিয়ে বললেন ঋত্বিকা।
পর্দায় অল্প বয়সি নায়িকার সঙ্গে মধ্য বয়সি নায়কের প্রেমের গল্প যুগ যুগ ধরে দেখিয়ে আসছে টলিউড এবং বলিউড। তবে পর্দায় তাঁদের বাবা-মেয়ে থেকে স্বামী-স্ত্রীর উত্তরণ ভাল ভাবে নেননি অনেকেই। নেটমাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তার পাশাপাশি ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ। ঋত্বিকা যদিও মনে করেন,
পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে এ ধরনের ছুৎমার্গ রাখলে কাজ করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “বয়সে বড় নায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধলেও তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার থাকে। সম্রাটদা আগে বলত, ‘একদিন তুই আমার নায়িকা হবি’। ভাবতে পারিনি সেটাই সত্যি হয়ে যাবে।”