ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকায় মো. সোহেল (৩৫) নামে দুবাই প্রবাসী এক যুবককে কুপিয়ে হ”ত্যা করে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলি। এ ঘটনার কয়েকদিন পর গত শনিবার চৌদ্দগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২২ আগস্ট) প্রেস ব্রিফিংয়ে ফেনীর র্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ আল জাবের ইমরান এই হ”ত্যাকাণ্ডের কারণ জানিয়েছেন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ১৬ জুলাই সোহেল দেশে আসে। এরপর থেকে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহেল মৌখিকভাবে শিউলিকে তালাক দেন।
এক পর্যায়ে সোহেল খাটে বসে থাকা অবস্থায় শিউলি পিছন দিক থেকে বটি দিয়ে কুপিয়ে গলা কেটে খুন করেন তাকে। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর রাতেই দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পালিয়ে যায় শিউলি। দিনভর ফটিকছড়িতে অবস্থানের পর রাতে কুমিল্লায় চাচার বাসায় আত্মগোপন করেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে র্যাবের একটি দল চৌদ্দগ্রাম এলাকায় তার চাচার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যমতে, হ”ত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি নাজির রোডের চৌধুরী সুলতানা ভবন সংলগ্ন কচুরিপানার ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়।শিউলিকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সে চৌদ্দগ্রাম থানার খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে। সোহেল একই উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
রোববার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খানের আদালতে হাজির করে পুলিশ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ হ”ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সোহেলের মা নিরালা বেগম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হ”ত্যা মামলা দায়ের করেছেন।