ম্যাচের শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে দুই উইকেট নিয়ে মাত্র ১ রান দেন কার্তিক। আর তাতেই পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয় মুস্তাফিজুর রহমানের রাজস্থান রয়েলস।
আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে পাঞ্জাব। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রানের জুটি গড়েন। চেতন সাকারিয়ার বলে ৪৯ রান করে রাহুল ফিরলে ভাঙে এই জুটি। রাহুল ফেরার পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন আগারওয়ালও। ডানহাতি এই ওপেনার করেছেন ৪৩ বলে ৬৭ রান।
তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন নিকোলাস পুরান ও অ্যাইডেন মার্করাম। এই দুজনের জুটিতে থেকে ৫৭ রান আসলেও দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেনি। ১৯ ও ২০তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ও তিয়াগীর দারুণ বোলিংয়ে ২ রানের জয় পায় রাজস্থান। পুরান ৩২ রান এবং মার্করাম করেছেন অপরাজিত ২৬ রান।
মঙ্গলবার দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল রাজস্থান। ৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন জসশ্রী জাসওয়াল ও এভিন লুইস। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ২১ বলে ৩৬ রান করে লুইস আউট হলে এই জুটি ভাঙে। ব্যাট হাতে এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন রাজস্থান অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসন (৪)।
এরপর লিয়াম লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ১০০ পার করেন জাসওয়াল। দলীয় ১১৬ রানে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে আরশদীপের শিকার হন লিভিংস্টোন। ফিফটি পূর্ণ হয়নি জাসওয়ালর, ফিরেছেন ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে। ৪৯ রানের ইনিংস খেলে হারপ্রীত ব্রারের বলে আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান।
এরপর ঝড়ো ইনিংস খেলেন মাহিপাল লোমরর। ১৭ বলে ২টি চার ও ৪ ছয়ে ৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রিয়ান পরাগ (৪), রাহুল তেওয়াটিয়া (২) ও ক্রিস মরিসকে (৫) শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। এরপর চেতন সাকারিয়া ও কার্তিক ত্যাগিকে আউট করে ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট দখলে নেন আরশদীপ সিং। ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটির পরেও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব। তাদেরকে রুখে দিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর জয়েই আইপিএলের ফিরতি পর্ব শুরু করল মুস্তাফিজের রাজস্থান।