কলকাতার সব দুর্গাপুজোকে টেক্কা দিয়ে সেরা আকর্ষণ এবার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ‘বুর্জ খলিফা’। তিলোত্তমায় এবছর দুবাইয়ের স্বাদ দিয়েছে শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে বুর্জ খলিফা মণ্ডপ। যার টানে কাতারে কাতারে মানুষ ছুটে যাচ্ছেন শ্রীভূমিতে। মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো বলে পরিচিত এই পুজো টেক্কা দিয়েছে ক্রাউডপুলার হিসাবে। কিন্তু সেই পুজো লাইটিং নিভিয়ে রাখা নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, বুর্জ খলিফা-র জন্য যে লেজার লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা অসুবিধা কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে। সেই কারণে পাইলটদের একাংশ আপত্তি করেন ওই আলো নিয়ে। আর তাঁদের আপত্তির কারণেই নাকি বুর্জ খলিফার লেজার আলো বন্ধ করতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা। কিন্তু আদৌ কি তাই?
বিরাট উঁচু এই মণ্ডপের অন্যতম আকর্ষণ লাইটিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন রিয়াজ আহমেদ। তাঁর ‘ইন্টেলিজেন্ট লাইটিং’ মণ্ডপকে দিয়েছে মায়াবী রূপ। মণ্ডপ থেকে ছিটকে পড়া লেজার রশ্মিতে আরও মায়াবী হয়ে উঠছিল কলকাতার বুর্জ খলিফা। কিন্তু এই ১৪০ ফুট উঁচু মণ্ডপের লেজার রশ্মির ফলেই অসুবিধায় পড়ছেন পাইলটরা, আর সেই কারণে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁরা এ বিষয়ে কোনও অভিযোগের বিষয়ে জানেন না।
বলা হতে থাকে, তিনটি আলাদা আলাদা বিমানের পাইলটরা কলকাতা এটিসি-র কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এরপরই এটিসি-র তরফে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়। আর এয়ারপোর্ট অথরিটির তরফে আপত্তির কথা জানা মাত্রই নাকি শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ওই আলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এমন কোনও অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা জানেন না। লেজার আলো নেভানোর প্রসঙ্গে তাঁদের দাবি, অত্যধিক ভিড় হওয়া আটকাতেই লেজার আলো নিভিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র ‘স্টিল আলো’ই জ্বালিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
তবে, সব বিতর্কের পরেও শ্রীভূমির এই পুজোয় মাত আপামর মানুষ। মূল মণ্ডপ তৈরির জন্য ৬০ ফুটের লোহার একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছে শ্রীভূমিতে। তার উপরে বাঁশ, কাঁচ আর ফাইবার দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কলকাতার এই ‘বুর্জ খলিফা’। মণ্ডপশিল্পী রোমিও হাজরা কলকাতায় বুর্জ খলিফার রেপ্লিকা গড়ে তুলতে গিয়েছিলেন দুবাই।সূত্র- নিউজ১৮।