বোলিং বিবেচনায় সৌম্য সরকারকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ে অন্যরা ভালো করায় সৌম্যর বোলিং প্রয়োজন হয়নি। টপ অর্ডারে ব্যাটিং করলেও ৫ রানে শেষ তার ইনিংস।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পিঠের ইনজুরির কারণে বোলিং করতে পারবেন না বলে সৌম্যকে নেওয়া হয়েছিল। এজন্য জায়গা ছাড়তে হয় নাঈম শেখকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিশ্বকাপের বাঁচা-মরার লড়াই। ওমানকে হারালে বিশ্বকাপের লড়াইয়ে টিকে থাকবে। এমন ডু অর ডাই ম্যাচে সৌম্যকে বাদ দিচ্ছে দল। দলে আসছেন নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ। নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘নাঈমকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল। সৌম্য খেলানোর কারণ মাহমুদউল্লাহ বোলিং করতে পারত না। আফিফ ছাড়া তাই আমাদের ষষ্ঠ বোলার কেউ ছিল না। আমরা ভেবেছি, যদি শিশির পড়ে এবং স্পিনারদের জন্য বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে ওঠে…অন্য কারও সিম বোলিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে। সৌম্যকে সেজন্য বিবেচনায় আনা হয়েছিল। এজন্য সে গতকাল খেলেছে।’
বিশ্বকাপের আগে এই বছর বাংলাদেশ ১৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। প্রতিটিতে দলে ছিলেন নাঈম শেখ। তার সঙ্গী আফিফ হোসেনও খেলেছেন প্রতিটি ম্যাচ। প্রক্রিয়ার ভেতরে থাকা আফিফ হোসেন দলে সুযোগ পেলেও অদ্ভুত কারণে নাঈম ছিলেন না। তবে ওমানের বিপক্ষেই একাদশে ফিরছেন বাঁহাতি ওপেনার, ‘নাঈম আমাদের জন্য দারুণ করে আসছে।
মাহমুদউল্লাহর বোলিংয়ের কারণে আমাদের একজন বাড়তি বোলারের দরকার ছিল। সৌম্য সেই অভাবটা পূরণ করতে পারত। মাহমুদউল্লাহ এখন বোলিংয়ে ফিরতে পারবে। আমরা তাই নাঈমকে একাদশে ফেরাতে পারব।’
নাঈমের অন্তর্ভূক্তিতে সৌম্য বাদ পড়ছেন নিশ্চিত। দেখার বিষয়, নিজের প্রথম বিশ্বকাপে কেমন করেন নাঈম শেখ। এ বছর অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান নাঈমই করেছেন। ১৬ ম্যাচে ২৩.৪০ গড়ে তার রান ৩৫১।