ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির জন্মদিন আজ। ২৯ বছর পেরিয়ে ৩০ বসন্তে পা দিলেন তিনি। ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর পরীমনির জন্ম হয়েছিল সাতক্ষীরায়। তার প্রকৃত নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। পরীর বাবার নাম মনিরুল ইসলাম, মা সালমা সুলতানা। মাত্র তিন বছর বয়সে নায়িকা তার মাকে হারান। এরপর পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে বড় হন তিনি। বর্তমানে সেই নানাই পরীর সবকিছু।
বিশেষ দিনটির প্রথম প্রহরেই নানা আশীর্বাদ নিয়ে জন্মদিন শুরু করেন পরীমনি। ২৩ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটে নানা শামসুল হক গাজীকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন পরীমনি। এ সময় পরীমনিকে পরম মমতায় কপালে চুম্বন করে আর্শীবাদ করেন শামসুল হক গাজী।
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পরীমনি। তার আগে বিকেলে রাজধানীর কয়েকটি এতিম খানায় সময় কাটাবেন বলে জানিয়েছেন এই নায়িকা। আজ রাত ৮টা থেকে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে শুরু হওয়া আয়োজনের জন্য লাল ও সাদা রঙের ড্রেস কোড দিয়েছেন অতিথিদের জন্য।
পরীমনি বর্তমানে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুনিন’-এর শুটিং করছেন। পাশাপাশি তার হাতে এখন বেশ কয়েকটি সিনেমা আছে। ‘গুনিন’-এর পর ‘প্রীতিলতা’, ‘বায়োপিক’, ‘অন্তরাল’, ‘মা’সহ আরো বেশ কিছু সিনেমার শুটিং শুরুর কথা রয়েছে।
আরো পরুনঃ
সিনেমা ছেড়ে ধর্মকর্মে মনযোগী চিত্রনায়িকা শাহনাজ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার ভাগলপুরের মেয়ে চিত্রনায়িকা শাহনাজ। মুভি সম্রাট এহতেশামের নজরে পড়েন। তার হাত ধরেই পা রাখেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে। ১৯৯২-২০০২ সাল ঢাকাই সিনেমায় একটানা কাজ করেছেন চিত্রনায়িকা শাহনাজ। পারিবারিক নাম বদলে হয়ে যায় শাহনাজ। ১৯৯২ সালে পরিচালক চাষী হুমায়ুন কবিরের ‘পদ্মার চর’ সিনেমা দিয়ে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
এরপর একটানা কাজ করেছেন ২০০২ সাল পর্যন্ত। সালমান শাহ, অমিত হাসান, ওমর সানী, আমিন খান, মান্নাসহ অনেক নায়কের সঙ্গেই তিনি উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সিনেমা। এখন সেসব অতীত। প্রায় ১৯ বছর ধরে সিনেমায় নেই শাহনাজ। এমনকি সিনেমায় তার কাছের বন্ধুরাও এই চিত্রনায়িকার খোঁজ পান না। কারও সঙ্গেই যোগাযোগ রাখেননি সফল এই নায়িকা।
আলোচনাহীন সাদামাটা এক জীবনে নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন একসময়ের সুপারহিট এই চিত্রনায়িকা। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনেক হারানো মুখের সন্ধান মিললেও শাহনাজকে দেখা যায়নি কখনো। তিনি ভোট দিতেও আসেন না। যে ইন্ডাস্ট্রির সুবাদে দেশজুড়ে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা সেই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে কেন শাহনাজের এই নিরব হয়ে যাওয়া? এমন প্রশ্ন অনেকের।
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায়ই বসবাস করছেন শাহনাজ। বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। মন দিয়েছেন ধর্মকর্মে। বাইরে খুব একটা যান না। গেলেও বোরকায় নিজেকে ঢেকে রাখেন। বলা চলে, জীবন থেকে রঙিন দুনিয়ার সবকিছুই মুছে দিয়েছেন তিনি। চেষ্টা করেছেন আলোচনাহীন সাদামাটা এক জীবনে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে। বলা চলে পেরেছেনও।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখনো শাহনাজের নামের মুগ্ধতা ছড়ান তার ভক্তরা। নায়ক মান্নার ভক্তরাও তাকে খুব মিস করেন, নানা স্ট্যাটাসে সেটাই প্রকাশ করেন তারা। ক্যারিয়ারের শেষদিকে মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু হিট-সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাহনাজ। নায়িকার নতুন সিনেমা নেই, তার দেখাও মেলে না কোথাও। তবুও শাহনাজের নাম রয়ে গেছেন সিনেমার দারুণ এক সফল নায়িকা হিসেবে, ভক্তদের অন্তরে। থেকেও যাবেন চিরকাল। অনেক চেষ্টা করলেও হয়তো সেই নাম ও ভালোবাসার আবেগটা কখনো মুছতে পারবে না শাহনাজ।
শাহনাজ অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে এগিয়ে থাকবে জ্যোতি, পদ্মার চর, সত্যের মৃত্যু নেই, দেশের মাটি, মায়ের কসম, বিদ্রোহী কন্যা, বিদ্রোহী সন্তান, মৃত্যুদাতা, দুরন্ত প্রেমিক, রুটি, হিংসা, আশার প্রদীপ, আত্মত্যাগ, বাংলার মা, মহৎ, চাঁদাবাজ, চালবাজ, হুলিয়া, দুনিয়ার বাদশা, বিশ্বনেত্রী, আত্মরক্ষা, মোনাফেক, আসামী গ্রেফতার, পলাতক আসামী, ওস্তাদের ওস্তাদ, বাবা মাস্তান, ঠাণ্ডা মাথার খুনি, হারামখোর, জোর যার মুল্লুক তার, তুমি কত সুন্দর ইত্যাদি সিনেমার নাম।