সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বেশ বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দল। এরপর দুই সহজ প্রতিপক্ষ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিলেও প্রথম ম্যাচে জিততে জিততে হেরে যায় বাংলাদেশ।
১৭১ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে মেনে নিতে পারেননি কেউ। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বিশ্লেষণ করেছেন, কেন বাংলাদেশ দলের এমন অবস্থা।
জয়ের অনেক কাছে গিয়েও হেরে যাওয়ার যে কারণ স্পষ্ট সেটা সবার চোখেই ধরা পড়েছে। ফিল্ডিং মিস, ক্যাচ মিসের খেসারত লঙ্কানদের বিপক্ষে হার।
২০১৯ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বাংলাদেশ দলের কোচদের ছাটাই করা দেওয়া হয়। ওই সময়ে কোচিং স্টাফে থাকা ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয় সবাইকে। অথচ, বাংলাদেশ দলের বর্তমান ফিল্ডিংয়ের অবস্থা দেখলে মনেই হয় না দলের সঙ্গে কোনো ফিল্ডিং কোচ আছেন। এমন সমালোচনা করেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
‘লিটন ক্যাচ মিসের কোন এক্সকিউজ দিব না এমনকি লিটন নিজেও দেবে না। তবে ক্যাচ মিস খেলার একটা অংশই। কিন্তু ফিল্ডিং কোচের কাছে কি এ বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। ক্যাচ মিস কি এই প্রথম হলো। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ম্যানেজমেন্টের প্রায় সবাই চাকরি হারিয়েছে স্রেফ বর্তমান ফিল্ডিং কোচ ছাড়া। তাহলে আমরা বিশ্বকাপে বা তারপর কি সেরা ফিল্ডিং সাইড হয়ে গিয়েছি।
এখন টিম ম্যানেজমেন্ট দেখলে মনে হয় একটা রিহ্যাব সেন্টার যেখানে সাউথ আফ্রিকার সব চাকরি না পাওয়া কোচগুলো একসঙ্গে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চাকরি করছে। এদের বাদ দেওয়া আরও বিপদ। কারণ, চুক্তির পুরো টাকাটা নিয়ে চলে যাবে। তাহলে দাঁড়ালো কী, তারা যতদিন থাকবে আর মন যা চাইবে তাই করবে।
হেড কোচ এক এক করে নিজ দেশের সবাইকে আনছে এরপর যারা অস্থায়ীভাবে আছে তাদেরও সরাবে আর নিজের মতো করে ম্যানেজমেন্ট সাজাবে। তাও মেনে নিলাম কিন্তু রাসেল (হেড কোচ) ম্যানেজমেন্টের জন্য যেভাবে স্টেপ-আপ করে মূল দলের জন্য তাহলে লুকিয়ে কেন। কেন তামিম, মুশফিক, রিয়াদ ভালো থাকে না। এটা ঠিক করা কি তার কাজ না।’
মাশরাফী যোগ করেন, ‘তারপরও দায় খেলোয়াড়দেরকেই নিতে হয় বা হবে। এটাই স্বাভাবিক কারণ। মাঠে তারাই খেলে কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার যে খেলোয়াড়দের সেরকম পরিবেশ করে দিতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে, তাদের বিপদে কেউ পাশে না থাকুক অন্তত টিম ম্যানেজমেন্ট থাকবে।
আমি আমার ক্যাপ্টেন্সির শেষ প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম এই দলের কোচ যে-ই হোক না কেন, এখন এই দলের রেজাল্ট করার সময় এক্সপেরিমেন্টের না। কোচের চাহিদা মেটানোর আগে আমাদের দেশের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। কারণ, ক্রিকেট দেশের মানুষের কাছে এখন স্রেফ খেলা নাই, রীতিমতো আবেগে পরিণত হয়েছে।’