পাকিস্তানের সাবেক সফল অধিনায়ক, কোচ মিসবাহ উল হক বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ভুল নিয়ে আলোচনা করেছেন। শুধু তাই ই না, গোল টেবিল আলোচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাফল্য পাবার উপায় বাতলে দিয়েছেন বাংলাদেশকে।
এ স্পোর্টসে ম্যাচ পরবর্তী বিশ্লেষণে বাংলাদেশের সিলেকশন দেখে অবাক হবার কথা জানান মিসবাহ।
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ দলের সিলেকশন দেখে অবাক হয়েছি। শারজাহর উইকেটে তাসকিনকে না খেলানো! যখন আপনি জানেন হার্ড লেংথে বল করা বোলার এখানে ব্যাটসম্যানদের ভোগায়। টপ অব স্টাম্পস বল হিট করে, লেগ বিফোরের সুযোগ থাকে। ‘
‘বাংলাদেশ এক ডাইমেনশনাল বোলিং অ্যাটাক নিয়ে নেমেছিল। মাত্র দুইজন ফাস্ট বোলার। সাইফউদ্দিন যিনি কিনা ফুলার লেংথে বল করে তাকে নেওয়া বুমেরাং হয়েছে।’
‘হ্যা, তারা ক্যাচ মিস করেছে। তবে ডেথ বোলিংয়ে খুব জলদি ইয়র্কারে গেছে বাংলাদেশি বোলাররা। এমনিতে শারজাহতে ইফেক্টিভ বোলার হয় ব্যাক অব লেংথ যত হার্ড লেংথে স্লো বাউন্সার, কাটার করে, দ্রুত বল করে সফল হয়। আপনি দেখবেন তারা যে মার খেয়েছে সব ফুলার বলে।’
‘এখানে (শারজাহ) স্পিনারদের খেলানো বেশ কঠিন হয়ে যায়। আপনি শুরুতে ও শেষে তাদেরকে দিয়ে বল করাতে পারবেন না। খুব সহজে ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকায়। আমার মতে এটাই মূল কারণ বাংলাদেশের ১৭১ ডিফেন্ড না করতে পারার। ১৭১ বেশ ভালো স্কোর, ৮০ এর মধ্যে ৪ উইকেট ফেলে দেবার পরে এক ডাইমেশনাল বোলিং। এতো বেশি লেফট আর্ম বোলার, আর শ্রীলঙ্কার সব পাওয়ার হিটার।’
গোল টেবিল আলোচনায় অন্য প্যানেলিস্ট ওয়াসিম আকরাম তখন যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ দলের মাইন্ডসেটই এমন হয়ে গেছে বাংলাদেশে খেলে খেলে। ওখানে বিশাল টার্নিং উইকেট বানিয়ে দেয়। সেটা ওয়ানডে হোক, টেস্ট হোক, ডোমেস্টিক হোক। স্পিনেই ভরসা করে।’
বাংলাদেশ দলকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাফল্য পাবার উপায় অবশ্য বলে দিয়েছেন মিসবাহ উল হক। তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ ভেন্যুর যেখানেই খেলেন না কেনো আপনাকে অন্তত ৩ ফাস্ট বোলার খেলাতে হবে। হ্যা, স্পিনার খেলবে, মাঝে কিছু ওভার করবে। এটা বাংলাদেশ না যে আপনি শুরুতে, শেষে সবসময় স্পিন দিয়ে কাজ চালাবেন। শেষের দিকে স্পিনার বল করলে মার খেতে হবে।’