১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর এক সড়ক দু’র্ঘ’টনায় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী’ মা’রা যান। পরে ওই বছর ২৭ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ‘নিরাপ’’দ সড়ক চাই’ নামে একটি সংগঠন গঠন করেন।সেই থেকে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সমাজসেবা করছেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক।
সমাজসেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক। ঢাকা শহরে নিজে’র জমি বলতে আশুলিয়ার এক টুকরো’’ জমি আছে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের অন্যতম শ’ক্তিমান এ অ’ভিনেতার। নান্দনিক বাড়ি না বানিয়ে এই জমিতে হাসপাতাল বানানোর ঘো’ষণা দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। যেখানে সেবা দেওয়া হবে মানুষকে।
এরই মধ্যে নামও চূড়ান্ত করে ফে’লে ছেন। তাঁর প্রয়াত স্ত্রী’র নামে এটির নাম হবে ‘জাহানারা কাঞ্চন মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল’। প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর এটি গড়ে তোলা হবে। এরই মধ্যে হাসপাতাল নি’র্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে বলে জা’নালেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আশুলিয়াতে হাসপাতাল ক’রতে যাচ্ছি। আমা’র একটি মাত্র জমি, সেখানে আমি হাসপাতাল করবো। আমা’র যা আছে তাই দিয়েই হাসপাতা’লের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ৬ তলার প্ল্যান পাশ হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল হলেও এখানে বেশি গু’’রুত্ব দেওয়া হবে সড়ক দু’র্ঘ’টনায় আ’’হত মানুষদের।’ অনেক সহযোগিতা ক’রেছেন ইঞ্জিনিয়ার স্বপন ভাই। আমি আমা’র স্বপ্ন পূরণ করে চলেছি। যতদিন বেঁ’চে থাকবো মানুষের সেবা করে যাব’’ো। এটাই আমা’র স্বপ্ন ও কাজ।
তিনি আরো জা’নান, ২০০০ সালে নিজ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘মুন্না মাস্তান’ মু’ক্তি দেন তিনি। সেই ছবি থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে হাসপাতা’লের জমিটি কিনে রেখেছিলেন।১৯৭৭ সালে বসুন্ধ’রা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অ’ভিনয় শুরু করেন ইলিয়াস
কাঞ্চন। চলচ্চিত্র অ’ভিনেতা ছাড়াও তার দুটি পরিচয় হল চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক। মাটির কসম সিনেমা’র মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং বাবা আমা’র বাবা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। তিনি মায়ের স্বপ্ন নামেও একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রযোজনা সংস্থার নাম জয় চলচ্চিত্র।