নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে একেবারে খাদের কিনারায় বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদম জেতার অবস্থায় থাকা ম্যাচ দুইটি হেরে গিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে গোটা দল। তবে এতকিছুর পরেও সেমিফাইনালে খেলার আশা কিংবা স্বপ্ন একদম শেষ হয়ে যায়নি টাইগারদের। অন্তত কাগজে-কলমের হিসাবে এখনো বাংলাদেশের সেমিতে খেলা সম্ভব।
বাংলাদেশের গ্রুপে দল আছে মোট ছয়টি। প্রতিটি দল খেলবে ৫টি করে ম্যাচ। যদি একটি দল তাদের ৫টি ম্যাচেই জিতে যায় তখন বাকি পাঁচ দলের সামনে সুযোগ থাকবে দুইটি করে ম্যাচ জিতে সমান চার পয়েন্ট অর্জন করার। আর তখনই চলে আসবে নেট রানরেটের হিসাব নিকাশ। পাঁচ দলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো নেট রানরেটের দলটিই গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে যাবে সেমিফাইনালে।
বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়ার জন্য অবশ্য ভাগ্যেরও কিছুটা সহায়তা লাগবে। বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়ার সমীকরণ হলো: ইংল্যান্ডকে তাদের বাকী তিনটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততেই হবে। তার পরে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে হবে এবং বাংলাদেশকে জিততে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং শ্রীলঙ্কাকে জিততে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
শুধুমাত্র এই ঘটনাগুলো ঘটলেই সেমিফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ। কোনো একটি ম্যাচের ফলাফলও এদিকসেদিক হয়ে গেলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে টাইগারদের। কিন্তু যদি সবগুলো ম্যাচের ফলই বাংলাদেশের পক্ষে আসে তখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনালে চলে যাবে ইংল্যান্ড। বাকি পাঁচ দলের সবার পয়েন্ট হয়ে যাবে চার। তখন নেট রানরেটে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটিই সঙ্গী হবে ইংলিশদের।