‘পারছি না। তোকে ছাড়া থাকতে পারছি না। আমাকে খুন করে ফেল। না হলে আর পারছি না।’ কলকাতার পরিচালক জয়দীপ রাউত রোববার (৩১ অক্টোবর) তার নির্মিত ‘অলৌকিক’ ওয়েব সিরিজে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন কথা নন্দির সঙ্গে তোলা অন্তঃরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। আর ক্যাপশনে এসব লেখেন।
জানা যায়, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কথার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিবাহিত জয়দীপ। এর আগেও কথাকে নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন জয়দীপ। ‘মল্লার যেখানে নামে’ শিরোনামের চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। জানা যায়, পরিচালনার পাশাপাশি কবিতাও লেখেন জয়দীপ।
কবি হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে তার। প্রকাশিত হয়েছে তার কবিতার বইও। বেশ কয়েক বছর সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। জয়দীপের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছেন তার স্ত্রী।
ফেসবুকে পোস্টর পর বিষয়টি সবার নজর কাড়ে। চোখ এড়ানি টলিউড অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জিরও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অন্তঃরঙ্গ মুহূর্তের ছবি পোস্ট করায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন রাহুল। জয়দীপের স্ট্যাটাসের একটি স্ক্রিন শট ফেসবুকে পোস্ট করে রাহুল লিখেন— ‘অনেক অনেক দিন চুপ করে থাকার পর আজ লিখতে বাধ্য হচ্ছি।
আমি আড্ডা টাইমসের হয়ে একটি কাজ করেছিলাম। যার নাম ‘অলৌকিক’। নিচের যে ছবিটা দেখছেন তা জয়দীপ রাউতের। ‘অলৌকিক’ ওয়েব সিরিজের পরিচালক তিনি। জয়দীপের সঙ্গে মেয়েটি অর্থাৎ কথা নন্দি ‘অলৌকিক’-এর নায়িকা। এই কাজটি করতে গিয়ে ওদের যে বিশেষ সম্পর্ক আছে তা জানতে পারি। জানিয়ে রাখা ভালো—কথা আমার চেয়ে ১২-১৩ বছরের ছোট। জয়দীপ আমার চেয়ে ১০ বছরের বড়। অর্থাৎ কথা ও জয়দীপের বয়সের ব্যবধান ২৩ বছর। কিন্তু প্রেমের ডাক এলে বয়স এবং অন্যান্য বাধা তুচ্ছ হয়ে যায়, তাই এ নিয়ে মাথা ঘামাইনি।’
জয়দীপের ফেসবুক আইডি ঘুরে দেখা যায়, কথার অনেক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানেও কথার সঙ্গে জয়দীপের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শোভা পাচ্ছে। আর এ বিষয়টি স্মরণ করেছেন রাহুলও। দীর্ঘ দিন ধরে জয়দীপ এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন। তবে এতদিন বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলেননি। এমনকী রাহুলও নয়।
তাহলে হঠাৎ কেন রাহুল ক্ষুদ্ধ হলেন? কারণ ব্যাখ্যা করে রাহুল লিখেন, ‘জয়দীপ বিবাহিত তাই ও কথাকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি। দিনের পর দিন এই ভবিষ্যৎহীন সম্পর্কে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, মেয়েটি বাধ্য হয়ে অন্য বন্ধু বেছে নিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জয়দীপের প্রেমিকের খোলস খুলে গেছে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ও কথার সঙ্গে নিজের অন্তঃরঙ্গ ছবি শেয়ার করছে, ডিজিটাল শেমিং করছে।
মেয়েটির ভবিষ্যৎ দুর্বিষহ করে তুলছে। ভেবেছিলাম এই কাদাতে ঢুকবো না। কিন্তু কবি বলে পরিচয় দেওয়া একজন শুধু প্রেম কেটে গেছে বলে নিজের থেকে আড়াই দশকের ছোট মেয়েকে দিনের দিন অত্যাচার করবে এটা কতদিন মুখ বুজে সহ্য করা যায়? কথা যদি হঠকারী কিছু করে ফেলে নিজের চুপ করে থাকার জন্য নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। এই অমানুষটিকে চিনে রাখুন।’