বলিউডের ‘পাওয়াল কপল’ শাহরুখ-গৌরী। সদ্যই নিজেদের ৩০তম বিবাহবার্ষিকী পার করলেন এই দম্পতি। যদিও চলতি বছর আরিয়ান জেলবন্দি থাকায় এই বিশেষদিনটা সুখকর ছিল না শাহরুখ-গৌরীর জন্য।
জীবনের সব চড়াই-উতরাইতে পরস্পরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন শাহরুখ-গৌরী। শাহরুখ যখন বলিউডে পরিচিতি পাননি, তখন স্ট্রাগলার অভিনেতা শাহরুখ খানের হাত ধরেছিলেন গৌরী। ১৯৯১ সালের ২৫শে অক্টোবর বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েছিলেন দু’জনে।
রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারের মেয়ে গৌরী। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মবলম্বী শাহরুখ। বিয়ে নিয়ে শুরুতে বেশ আপত্তি জানিয়েছিল গৌরীর পরিবার, তবে শেষমেশ বিয়েতে মত দেন তারা। বিয়ের রাতেই অবাক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন শাহরুখ, তা শুনলে আপনি চমকে যাবেন।
এমনিতেই শাহরুখের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি ঘোরে। বিয়ের আসরে তা দমে থাকেনি। ফরিদা জালালকে দেওয়া এক বহু পুরোনো সাক্ষাত্কারে নিজের সেই কাণ্ডের কথা জানিয়েছিলেন এসআরকে।
শাহরুখ বলেন, বিয়ে সাধারণত ৪৫ মিনিট ধরে চলে, কিন্তু আমাদেরটা প্রায় দেড়-দু ঘন্টা ধরে চলেছিল। তখনই লোকজনের ফিসফিসানি শুরু, সকলে বলছে ছেলেটা মুসলিম… নিশ্চয় মেয়েটার নাম পালটে দিচ্ছে, এবার কি গৌরী মুসলিম হয়ে যাবে? আর আমিও তখন ওর আত্মীয়দের সঙ্গে মজা করবার প্ল্যান সেরে ফেললাম। বললাম, গৌরী রাত ১টা বেজে গেছে চলো আমাদের নামাজ পড়তে হবে, তুমি বোরখা পরে নাও। আর সবাইকে জানিয়ে রাখি এখন থেকে ওর নাম আয়েশা।
শাহরুখের এই কথা শুনে সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। শাহরুখ যোগ করতে ভোলেননি, আসলে ব্যাপারটা হল সব ধর্মকে সমানভাবে সম্মান জানানো উচিত, কিন্তু ধর্ম যেন তোমার ভালোবাসার রাস্তায় অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়, এটাই শেখবার।
২০০৫ সালে করণ জোহারের চ্যাট শো-তে গৌরী জানিয়েছিলেন তারা দু’জনেই একে অপরের ধর্মকে সম্মান করেন। গৌরীর কথায়, আমি ইসলামকে সম্মান করি, তার মানে এই নয় আমি ইসলাম গ্রহণ করব। প্রত্যেকের নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস রয়েছে, কিন্তু সবধর্মকে সম্মান করা উচিত।
১৯৮৪ সালে দিল্লিতে এক পার্টিতে প্রথম পরিচয় শাহরুখ-গৌরীর। প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর প্রেম। যদিও শাহরুখের কথায়, সেটা শুধুই অ্যাফেয়ার ছিল। শাহরুখের মাত্রাতিরিক্ত পজেসিভ আচরণের জন্য সম্পর্ক ভেঙেও দিয়েছিলেন গৌরী। কিন্তু প্রিয়তমার মন আবারো জিতে নিতে কোনো খামতি রাখেননি শাহরুখ। তিন সন্তান (আরিয়ান, সুহানা, আব্রাম)-কে নিয়ে সুখী গৃহকোণ তাদের।