বিয়ের সপ্তাহ না পেরুতেই ভাঙছে সংগীতশিল্পী ইলিয়াস ও মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রার সংসার। গেল বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) নিজেদের গায়ে হলুদের ছবি প্রকাশ করে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুজনে। এরপর রাজধানীর বনানীতে বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন সংসার শুরু করেন তারা। কিন্তু সংসার শুরুর পরই শুরু হয় নানা সমস্যা। আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি কল রেকর্ড প্রকাশ করেন সুবাহ। যেখানে তিনি দাবি করেন, তার টাকা ও শরীর ভোগের জন্যই ইলিয়াস তাকে বিয়ে করেছিলেন।
এর আগের একটি স্ট্যাটাসে সুবাহ লেখেন, ‘প্রতিটা মেয়েই অনেক স্বপ্ন নিয়ে গায়ে হলুদ করে হাসিখুশিভাবে বিয়ে করে। সংসার করার জন্য বাচ্চা জন্ম দিয়ে মা হওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু কিছু ছেলে আছে বিয়েটাকে খেলা হিসেবে নিয়ে মেয়েদের জীবন নষ্ট করে দেয়। সব মেয়ে হাসিমুখে গরিব স্বামীর সাথে সংসার করতে পারে। কম দামি কাপড় পড়ে লবণ দিয়ে ভাত খেয়েও অনেক মেয়ে সংসার করে কিন্তু যখন কোনো স্বামী বেইমানি করে মিথ্যা কথা বলে অন্য মেয়ের কাছে বউয়ের নামে মিথ্যা কথা বলে সম্পর্ক রাখে, যার চরিত্রের ঠিক থাকে না।
তার সাথে এটলিস্ট সংসার হয়না হবে ও না। যে নারী লোভী পুরুষ বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মেয়েকে ফাঁসিয়ে বেড়ায়! তার সাথে ঘর করা সম্ভব নয়। বোকা ছিলাম অন্ধের মতো এবারও হয়তো ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিলাম তাই বিয়ে করেছিলাম।
একটাই ভুল আমার কেন বিয়ে করলাম জানিনা এ ভুলের খেসারত কি এখন মরে গিয়ে দিতে হবে, নাকি বেঁচে থেকেই দেওয়া সম্ভব? আমি অনেক মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছি আর কোনো কিছু সহ্য করতে পারছি না আপনারাই বলুন আমার কি করা উচিত? আমার কি বিষ খেয়ে মরা উচিত নাকি সহ্য করে মেনে নিয়ে থাকা উচিত না কি করবো বলুন আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
এরপর আরও একটি স্ট্যাটাসে সুবাহ একটি অডিও রেকর্ড পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার স্বামীর ইলিয়াস এবং একটা মেয়ের কল রেকর্ড টা একটু শুনে দেখুন সবাই প্লিজ। এই রেকর্ডিং শুনেই আমি লাইভে আসছিলাম জগরা করেছি বুঝতে পারবেন কে কাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে চ্যাটিং করে এসব মেনে নিয়ে আমার পক্ষে থাকা সম্ভাবনা এই জন্যই আমি লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম আমাকে সবাই ভুল বুঝবেন না ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমি এতিম, এজন্য আমার সাথে ইলিয়াস এমন করল আল্লাহর বিচার অবশ্যই করবেন।’
সুবাহ আরও উল্লেখ করেন, ‘ও যখন আমাকে বিয়ে করেছে বিয়ের মধ্যে আমাকে শাড়ি গয়না কোন কিছু ইভেন্ট বিয়ের কোন খরচ ও করেনি। সে বিয়ের পর আমার কাছে অনেক কিছুই চেয়েছিলো, আমার মা ওকে ২৫ হাজার টাকা দামের একটা ঘড়ি গিফট করেছে ডায়মন্ডের সোনার দুইতা আংটি হোয়াইট গোল্ডের চেইন আমি দিয়েছি জুতা-স্যান্ডেল বিয়ের শেরওয়ানি পাঞ্জাবি এভরিথিং আমরা দিয়েছি সামর্থ্য অনুযায়ী ওকে কিনে দিয়েছি।
আমার ভাই ওকে রোলেক্স এর প্রায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা দামের একটা ঘড়ি পর্যন্ত কিনে দিয়েছে। এছারাও আমার আম্মু ইলিয়াস কে বলেছিলো তোমার আর যা দিমান্ড আছে আমরা দেবো। সুবাহর বাবা বেচে নেই তাই গাড়ি ফ্লাট কিনে দিতে লেট হবে বাবা।’
‘আমি সরল মনে ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম সংসার করার জন্য বাচ্চা নেওয়ার জন্য আরো আমাকে বিয়ে করেছিল আমার শরীরকে ভোগ করার জন্য এবং টাকার জন্য। আল্লাহর কাছে এবং আপনাদের সবার কাছে আমি ওই বেইমান চরিত্রহীন মিথ্যাবাদীর নামে বিচার দিয়ে রাখলা’