পুরুষ/ছেলেদের স্ত”ন বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে গাই”নোকো”মস্টিয়া/ গাই”নোকো”মাসিয়া বলা হয়ে থাকে। এই রোগটি যে কোন বয়সের ছেলে / পুরুষদের হতে পারে। তবে সাধারণত কিশোর (Teenage) ও বেশি বয়স্কদের (Old age) এটি বেশি হয়ে থাকে।
৩০-৬০% ক্ষেত্রে এটি ১০-১৬ বছরের ছেলেদের হয়ে থাকে, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই (কারও ক্ষেত্রে ভিন্ন) দুই বছরের মধ্যে নিজেই স্বাভাবিক অবস্থায় চলে যেতে পারে।
উপসর্গ ঃ গাই”নো”কোমস্টিয়া রোগের উ’পসর্গে হচ্ছে- স্ত”ন টি”স্যু বেড়ে গিয়ে একটা শক্ত চাকার মতো অনুভূত হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে সাইজে এতটাই বড় হয়ে যায়, যা দেখতে অনেকটা ম”লাদের স্ত”নের মতো দেখা যায়। এই সমস্যা শুধুমাত্র একপাশ বা উভয় পাশের স্ত”নে হতে পারে এবং অনেকক্ষেত্রে রোগী এতে ব্যাথা অনুভব করতে পারেন।
ধরন ঃ দুই রকমের হতে পারে-
True gynaeco mastia- যা সাধারণত স্ত”নের টিস্যু স্ফীতির কারণে হয়। Pseudo gynaeco”mostia-যা সাধারণত অতিরিক্ত চর্বি বা মেয়াদ জমে স্ত”ন বড় হয়ে গেছে এমন মনে হয়। বিভিন্ন কারণে / অবস্থায় রোগীরা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
ব”য়ঃস”ন্ধিকাল : সাধারণত ১০ বছর বয়স থেকে ছেলেদের স্ত”নের পরিবর্তন শুধু হয় হরমোনের (Oest”rogen & Test”osteroni) তারতম্যের জন্য, যা ১৫-১৬ বছর বয়সের দিকে স্বাভাবিক হতে থাকে। এই সময় কারো গাই”নোকোম”স্টিয়া হলে তা অনেক ক্ষেত্রে ২-৩ বছরের মাঝে স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।
বার্ধক্যে : বয়সের সঙ্গে ছেলের শরীরে Testo”sterone কমে যায় ও Oest”rogen এর অধিক দেখা দেয়। যার ফলশ্রুতিতে স্ত”ন বড় হয়।
Drugs and Medicine ঃ কিছু মা”দ”কদ্র”ব্য ও ওষুধের কারণে অনেক সময় গাই”নোকোম’সটিয়া হতে পারে যেমন- ক্যানাবিস (Cannabis) Cimetidine, Digoxin, Spironolactone ইত্যাদি। মাংসপেশি স্ফীত করার জন্য Anobolic steroid অনেকেই ব্যবহার করেন, এতে ছেলেদের স্ত”ন বড় হয়ে যেতে পারে।
Hypogonadism ঃ ছেলেদের শরীরের যে প্রধান হ”রমো”ন Testost”erone তা ঠিকমতো তৈরি হয় না।
Testi”cular Tumour ঃ অ”ন্ড”কোষের টি”উমার।
Cirrhosis of Liver (লিভার সিরোসিস)
Idiopathic ঃ অনেক ক্ষেত্রেই স্ত”ন বড় হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, যা Idiopathic বলা হয়।
Being Overweight ঃ স্থুল ব্যক্তিদের অতিরিক্ত মেদ থেকে Oestrogen তৈরি হয়ে গাইনোকোমসটিয়া হতে পারে।
Alcohol / মদ্যপান।
কি পরীক্ষা হয় : ডাক্তার প্রথমে তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। পরবর্তীতে রোগীকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। রক্তের হরমোনের পরিমাণ দেখা, আ”ল্ট্রাসনোগ্রাম বা মেমোগ্রাম এবং অনেক ক্ষেত্রে FNAC বা Core biopsy করা হয়ে থাকে (ক্যা”ন্সার রোগের সম্ভাবনা থাকলে)।
চিকিৎসা : অনেক ক্ষেত্রে গাই”কোনো”মাস্্যটিয়া রোগীদের কোন চিকি’ৎসা দরকার হয় না। তবে সাইজে বাড়তে থাকলে বা অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে বা ব্যথা হলে তখন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
লেখক : সার্জারি বিশেষজ্ঞ, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।