তৃতীয় স্বামী রোশন সিংয়ের সঙ্গে তৃতীয় বিয়ে ভাঙা নিয়ে গত কয়েক মাসে সংবাদ শিরোনামে থেকেছেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এরপর আচমকাই প্রকাশ্য রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী রং বদলে যোগ দেন বিজেপিতে। তৃণমূলের তারকা মুখ মিমি-নুসরাতদের টেক্কা দিতে মোদি-অমিত শাহরা ভরসা রেখেছিলেন শ্রাবন্তীর ওপর। কাজে এল না সেই ম্যাজিক। বেহালা পশ্চিমকেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লজ্জাজনকভাবে হেরে গেলেন শ্রাবন্তী।
বিজেপির তুরুপের তাস হিসেবে ধরা হয়েছিল যে শ্রাবন্তীকে, তিনি পার্থর কাছে হেরে গেলেন ৫০ হাজার ৮৮৪ ভোটে। অথচ গোটা নির্বাচনী প্রচারে নিজেকে বেহালার ঘরের মেয়ে হিসেবে জাহির করতে কোনও খামতি রাখেননি শ্রাবন্তী।
এই বিধানসভা কেন্দ্রেই জন্ম ও বেড়ে উঠা নায়িকা শ্রাবন্তীর। তবুও ঘরের মেয়েকে প্রত্যাখান করল বেহালাবাসী। রাজনীতির ময়দানে নামবার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক আক্রমণ শাণিয়েছেন শ্রাবন্তী।
কখনও মা-মাটি-মানুষের সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছেন তো কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এমনি নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন মমতা-অভিষেকদের বিরুদ্ধে।
শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই, আর সেই রেশের মাঝেই নায়িকার রাজনীতির ময়দানে নামার ফল খুব একটা সুখকর হল না। শুধু শ্রাবন্তী নন, বিজেপির তারকা প্রার্থীরা অধিকাংশই ব্যর্থ।
জয়ের স্বাদ পাননি বিজেপির কোনও নায়িকা-প্রার্থী। বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে হেরে গেছেন পায়েল সরকার, বারাহনগরে পরাজিত পার্নো, মুখ থুবড়ে পড়েছেন শ্যামপুর থেকে তনুশ্রী চক্রবর্তী।