চলতি বছর করোনা পরিস্থিতির ফের অবনতি হওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে কয়েক দফায় লকডাউনের মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী রোববার (২৩ মে) মধ্যরাতে। তবে ২৩ মে’র পর সামাজিক দূরত্ব ও সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউন শিথিল করতে পারে সরকার।শুক্রবার বাংলাদেশ জার্নালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র। সূত্র জানায়, লকডাউনের মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় সংক্রমণের হার ও মৃত্যু অনেকটা কমে আসছে, এটা আরো কমে আসবে বলে আশা করছে সরকার। তারপরও মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও এবার বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেনি। তাই টানা এক মাসেরও বেশি সময় বিধিনিষেধের পর সরকারও আর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে চায় না।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, লকডাউন আর দেয়া হবে না এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে লকডাউন শিথিল হতে পারে। পরে অবস্থার অবনতি হলে আবার সিদ্বান্ত নেয়া হবে। তবে সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করতে হবে। এবিষয়ে শনিবার বা রোববার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শুধু শুধু লকডাউন দিয়ে লাভ হবে না। মূল গুরুত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরে এবং সেটি শতভাগ নিশ্চত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রথম লকডাউন ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ছিলো। তবে ঢিলেঢালা এই লকডাউনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়। মহামারী বিস্তারের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়। সর্বশেষ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।