শাহরিয়ার নাজিম জয় এর উপস্থাপনা এবং সেহাঙ্গল বিপ্লবের পরিচালনায় চ্যানেল আইয়ের বিশেষ টক-শো ‘৩০০ সেকেন্ড।’ এই টকশোতে যেমন উঠে আসছে সোজা সাপটা কথা। তেমনই ছড়াচ্ছে বিতর্কও। এবার মডেল আফ্রি সেলিনা শাকিব খান সম্পর্কে মন্তব্য করে নেটীজেনদের তীর্যক মন্তব্যের মুখে পড়েছেন।
জয় প্রশ্নে বলেছেন এমন একজন নায়িকার নাম বলুন খুব জনপ্রিয় কিন্তু নায়িকাই মনে হয়। এর জবাব দিতে চাননি আফ্রি। জয়ের জোরের মুখে বলেন, পরীমনি। একইভাবেই নায়কের ক্ষেত্রেও প্রশ্ন করেন, যে খুব জনপ্রিয় অথচ তাকে নায়ক হিসেবেই মনে হয় না। আফ্রি সোজাসাপ্টা বলেন, শাকিব খান।
অবশ্য এরপর নেটিজেনরা বিশেষ করে শাকিব ভক্তরা আফ্রি সেলিনার ওপর খুব ক্ষেপে যান। এই নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদও করছেন অনেকে। গত নভেম্বরের প্রোগ্রামে এমন প্রশ্ন-উত্তরের বিষয়টি হলে সম্প্রতি সামনে আসে এর প্রতিবাদ।
ঐ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ও কলকাতার দর্শকদের রুচিগত পার্থক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেলিনা আফ্রি বলেন, পার্থক্য তো আছে। কলকাতার দর্শকেরা একটা জিনিস দেখে মন্তব্য করে। কিন্তু বাংলাদেশের দর্শকেরা না দেখেই মন্তব্য করে চলে যায়।
এই দেশের দর্শকদের নিকট থেকে তার প্রাপ্তি নেই উল্লেখ করে আফ্রি বলেন, আমি ২০১৭ তে একটা হিট মিউজিক ভিডিও দিয়ে এলাম। ২০১৮ সেনসেশন (কনডম) এর একটি বিজ্ঞাপন করলাম। এই দেশ থ্যেকে ভাইরাল কিছু কন্টেন্ট পেলাম। অথচ কলকাতা থেকে একটা অ্যাওয়ার্ড নিয়ে এলাম। ২০১৯ সালে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপন করে তুমুল ব্লকবাস্টার হিট করলাম। এমনকী ২০২০ সালেও ভাষা দিবসের একটা ওভিসি করলাম। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হলো।
তিনি বলেন, প্রত্যেকবার আমিতো মানুষের কাছে নতুনভাবে হাজির হচ্ছি। আমি কাউকে পরোয়া করি না। ওয়েব সিরিজে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করবেন কি না। প্রস্তাব পেলে কী করবেন এমন প্রশ্ন প্রসঙ্গে আফ্রি সেলিনা বলেন, ক্যারেক্টার অনুযায়ী যতটুকু খোলা যায় ততটুকু খোলা উচিৎ।
ওম্যান্স ওয়ার্ল্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ২০১১ সালে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন আফ্রি সেলিনা। ওই বছরেই নাঈম তালুকদারের নির্দেশনায় ওপার বাংলার ইন্দ্রনীলের বিপরীতে ‘অন্যপথ’ চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন।
গত বছরেরত ১২ জুলাই আফ্রি সেলিনা ব্যবসায়ী হৃদয় খানের সঙ্গে তার বাগদান সম্পন্ন করেছেন। দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বাগদান সম্পন্ন করেন। এ বছরের মাঝামাঝিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবার কথা ছিল।
আফ্রি সেলিনার জন্ম আগ্রায় হলেও মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন। অভিনয়ের দুনিয়ার একজন অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই তার স্বপ্ন।