মায়ের কোলে ১০ দিন বয়সী নবজাতক আয়েশা সিদ্দিকা কা’ন্না করছে, আবার হাসছে। তার হা’সি দেখলেই সবার মন জু’ড়িয়ে যায়। তবে তার এ হাসি কত দিন থাকবে, কেউ জানে না। কারণ, পিঠে বড় আকারের টিউ’মা’র নিয়ে তার জন্ম হয়।চিকিৎসকরা বলছেন দ্রুত চিকিৎসা না করালে আয়েশা মা’রাও যেতে পারে। চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র কৃষক বাবা রবিউলের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অ’সম্ভব।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগম দম্প’তির ঘরে জন্ম নেয় নবজাতক আয়েশা সিদ্দিকা। বতর্মানে রবিউল তার শ্বশুরবাড়ি আদিতমা’রী উপজেলার খাতাপাড়া মাজার এলাকায় থাকেন।
রবিউল ইসলাম জানান, রমজানের ঈদের দুই-তিন দিন পর বৈশাখী ক্লি’নিকে সি’জা’রের মাধ্যমে তাদের মেয়ের জন্ম হয়। কিন্তু সন্তনের পিঠে ও আরেকটি গো’প’ন স্থা’নে বড় আকারের টিউমা’র দেখে চিন্তায় পড়ে যায় পুরো পরিবার। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বললে চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকের টি’উমা’র অপা’রেশন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে।
রবিউল বলেন, চিকিৎসা না করাতে পারলে আমা’র সন্তানকে হয়তো আর বাঁ’চানো সম্ভব হবে না। অনেকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। কিন্তু অ’পারে’শন করাতে আরও দুই লাখ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা আমি কোথায় পাব? ওষুধ বাবদ প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এই টাকা সংগ্রহ করতে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ করতে হয় আমাকে। আনোয়ারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দ্রুত চিকিৎসা না করাতে পারলে আমা’র সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। সমাজের বিত্তবানরা একটু এগিয়ে এলে তাকে বাঁচানো যাব’ে। আমা’র ফুটফুটে সন্তান আবার আমা’র কোলে ফিরে আসবে।
প্রতিবেশী সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও স্বপন বলেন, বি’ষয়টি জেনে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জেনেও এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য করেননি। পরিবারটি আ’র্থিক অবস্থা ভালো নয়। সরকার ও বিত্তশালীদের তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই অ’স’হায় পরিবারটি উপজেলা নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করলে তাকে সহযোগিতা করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে বলে দিচ্ছি তিনি খোঁজ’খবর নেবেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বি’ষয়টি আমার জানা নেই। সংশ্লি’ষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যকে দিয়ে বি’ষয়টি খোঁজ নেব। জেলা প্রশাসন থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করব। নবজাতককে সাহায্য করতে চাইলে নবজাতকের বাবা রবিউল ইসলামের ০১৩০২-১৬৪৮৭০ এই ‘নগদ’ নম্বরে টাকা পাঠাতে পারবেন যে কেউ।