জাপানের মিয়াজাকি এলাকায় একটি সিডার বনে কয়েক ধাপে বৃত্তাকারে ছড়িয়ে আছে কয়েকটি গাছ। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় এগুলো প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠেনি।
এই অদ্ভূত নিদর্শন শুধু ওপর থেকে দেখা যায়। তিন বছর ইন্টারনেটে ছবিগুলো আলোড়ন তুলেছিল। ভিন গ্রহবাসী থেকে শুরু করে সরকারের গোপন পরীক্ষার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সরকারি পরীক্ষার তত্ত্বই সঠিক বলে জানা যাচ্ছে। তবে এটি কোনও গোপন বিষয় ছিল না। আর পরীক্ষাটি চালিয়েছে জাপানের কৃষি, বন ও মৎস মন্ত্রণালয়।
নিচিনান শহরের কাছের একটি এলাকাকে ১৯৭৩ সালে পরীক্ষামূলক বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর সেই পরীক্ষার ফলাফলই এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।
সেখানে যেসব পরীক্ষা চালানো হয় সেগুলোর একটি ছিল বেড়ে ওঠার সঙ্গে গাছের অবস্থানের দূরত্বের প্রভাব নির্ণয়। তারা সিডার গাছ একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব দশ ডিগ্রি বাড়িয়ে সমকেন্দ্রিক বৃত্তাকারে রোপন করে।
৫০ বছর পর দেখা গেছে, ঘনত্ব গাছের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। যেখানে গাছের ঘনত্ব বেশি সেগুলো কম দীর্ঘ। বাইরের বৃত্তের গাছগুলোর ঘনত্ব কম, সেগুলো দীর্ঘ হয়েছে বেশি। এতে করে সব মিলিয়ে অবতলের মতো দেখতে হয়েছে গাছগুলো।
জাপানের কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, সমকেন্দ্রিক বৃত্তাকারের মাঝখানে সবচেয়ে ছোট ও বাইরের বৃত্তাকারের লম্বা গাছটির পার্থক্য ৫ মিটার।