কয়েকদিন ধরেই বোনের বাড়িতে থাকছেন দশম শ্রেণির ছাত্রী মিম (ছদ্মনাম)। হঠাৎ একদিন সেই বাড়িতে সাধু বেশে আসেন এক বৃদ্ধ। যিনি জিনের সাহায্যে স্কুলছাত্রীর বোন-দুলাভাইকে ধনী বানানোর প্র;লো;ভ;ন দেখান। তবে বিনিময়ে তার কথিত জিনের আসনে যেতে হবে মিমকে। জিনের আসনে যেতেই সেই সাধু বাবা বলে ওঠেন ‘আমি জিন রূপে এসেছি, আমাকে খুশি করো।’ এসব বলেই স্কুলছাত্রীকে ধ;র্ষ;ণ করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। কথিত সেই সাধু বাবার নাম সবুর প্রামাণিক। তিনি পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের প্রাণপুর গ্রামের ভোলা প্রামাণিকের ছেলে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নি;র্যা;ত;ন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভু;ক্তভোগী ছাত্রীর বোন। নিয়মিত মামলা হিসেবে নেয়ার জন্য রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ভু;ক্তভো;গী দশম শ্রেণির ছাত্রী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নিজের বোনের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। একদিন ওই বাড়িতে সবুর এসে তার বোন ও দুলাভাইকে বড়লোক করে দেওয়ার প্র;লো;ভন দেখান। একই সঙ্গে স্কুলছাত্রীকে সবুরের বাড়িতে কথিত জিনের আসন বসানোর কথা বলেন। আর এ আসন না বসালে বড় ক্ষতি হবে বলে ভ;য় দেখান।
তিনি জানান, মে মাসের শেষ দিকে একদিন রাতে সবুরের বাড়ির কথিত জিনের আসনে যান তিনি। সবুর প্রথমে তাকে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে বলেন। নামাজ শেষ করতেই ঘরের আলো নিভিয়ে দেন সবুর। এরপর ভণ্ড সবুর একটি কালো রঙের জুব্বা পরে তার সামনে আসেন। একই সঙ্গে শ;রী;রে হা;ত দেন। এ সময় বাধা দেওয়ায় সবুর তাকে বলেন, ‘আমি এখন জিন সবুরের রূপে তোমার কাছে এসেছি, আমাকে খুশি করে দাও, আমার খা;য়ে;শ মিটিয়ে দাও, তোমার মনের সকল আশা পূরণ হবে।
এতে রাজি না হলে স্কুলছাত্রীকে নামাজের পাটির ওপর ফেলে ধ;র্ষ;ণ করেন সবুর। এরপর একই ধরনের ভয় দেখিয়ে তাকে চারবার ধ;র্ষ;ণ করেন।
পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন বলেন, বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। একই সঙ্গে ভু;ক্তভো;গী ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার পর থেকেই ভণ্ড সাধু সবুর পলা;তক বয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।