প্রেমের সম্পর্কের সালিশ করতে গিয়ে পছন্দ হওয়ায় বিয়ে করে নেওয়া সেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়েছে কিশোরী। শনিবার (২৬ জুন) তালাকের বিষয়টি কিশোরীর বাবা নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সাথে একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রী নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি এবিষয়টি কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান।
চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজান ও নছিমনসহ দুই
পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠকে মেয়ে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা এ বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করলে ওই দিন বাদজুমা চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে এনে ৫ লাখ টাকা কাবিনে নছিমনকে বিয়ে করেন। এটি ছিল চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ে।
বিয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। বিষয়টিকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার ওই একই কাজীর মাধ্যমেই তাদের তালাক সম্পন্ন হয়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।