কাজী হা’য়াতের ফোন বেজেই চলছে। কেউ ধরছেন না। কয়েক দফা চেষ্টার পর মে’য়ে মিমের নম্বরে কল করা হয়। কয়েকবার রিং হতেই তিনি ধরলেন। পরিচয় দিয়ে বাবার কথা জানতেই হাউ’মাউ করে কাঁদছিলেন। কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। কাঁদতে কাঁদতে বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে চাইলেন দোয়া।
ফোনের লাইন কে’টে যাওয়ার আগে বাবা স’ম্পর্কে মে’য়ে কাজী আফরোজা মিম এটুকু বলে রা’খলেন, আজ বাবার শারীরিক অবস্থা খুব খা’রাপ হয়েছে। তাই দ্রুত হা’সপাতা’লে সাধারণ বেড থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।করো’নায় আ’ক্রান্ত বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎকে গত সো’মবার হাসপাতা’লে ভর্তি করানো হয়।
একই হাসপাতা’লে তাঁর স্ত্রী’কেও ভর্তি ক’রানো হয়। এদিকে কাজী হায়াতের পুত্রবধূ রাইসাও তাঁর শ্ব’শুরের জন্য দোয়া চেয়েছেন। করো’নায় আ’ক্রান্ত চিত্র পরি’চালক কাজী হায়াৎ ও তাঁর স্ত্রী’ রোমিসা হায়াৎকে হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার সকালে রাজ’ধানীর একটি হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়।
৮ মা’র্চ দুজনের করো’নাভাই’রাস শনাক্ত হওয়ার পর তাঁরা দুজন বাসাতেই ছিলেন। পরিস্থি’তির কিছুটা অবনতি হলে গত সপ্তাহে তাঁদের হাসপাতা’লে ভর্তি করানো হয়। ২ মা’র্চ তিনি করো’নার টিকা নিয়েছেন। ৫ মা’র্চ থেকে জ্বর জ্বর বোধ করছেন তিনি।বাসা ও বাইরে যথেষ্ট সতর্ক ছি’লেন পরিচালক কাজী হায়াৎ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
এ সময় কাজ থেকে বি”রত ছিলেন এই নির্মাতা, প্রযোজক ও অ’ভিনেতা। তখন থেকেই ঘরের বাইরে বের হ’তেন না তিনি। কোনো কাজে বের হলেও থাকত বাড়তি সতর্কতা। মা’র্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বর নিয়ে করো’নার নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন এই পরিচালক। ফল হাতে এলে জা’নতে পারেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী’ করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত।
সম্প্রতি কাজী হায়াৎ অ’ভিনয় করেছেন হিরো আলম প্রযোজিত ‘টোকাই’ ছবিতে। এ ছবিতে অ’ভি’নয়ের জন্য ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ থেকে মা’র্চের ৬ তারিখ পর্যন্ত শুটিংয়ে অংশ নেন। ছবিতে কাজী হায়াৎকে দেখা যাবে নায়িকার বাবার চরিত্রে, যিনি টোকাই চরিত্রের অ’ভিনেতা হিরো আলমকে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দেন।