বলিউডের ভার্জিন গার্ল খ্যাত অভিনেত্রী টাবু সবশেষ ২০০৮ সালে তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এরপর প্রায় একযুগ কে’টে গেলেও তাকে আর তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায়নি।
এবার দীর্ঘ বিরতির পর আবারও তেলেগু ছবি ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামলো’ ছবিতে পর্দা কাঁপিয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী।তবে সেই ছবিতে অভিনয় ক’রতে গিয়ে চড়া দাম হাঁকিয়েছেন টাবু। গত ১২ জানুয়ারি মু’ক্তি পাওয়া ছবিতে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য নিজে’র চেহারা দেখিয়ে গুণে গুণে নিয়েছেন ৩ কোটি রুপি।
এরইমধ্যে ত্রিবিক্রিম শ্রীনিবাস পরিচালিত নতুন এই তেলেগু ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফে’লেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, এর আগে মহেশ বাবু অভিনীত ‘সারিলেরু নিকেভভারু’ ছবিতেও একই পরিমাণ পারিশ্র’মিক হাঁকিয়েছিলেন টাবু।
আল্লু অরবিন্দ ও রাধা কৃষ্ণার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত অ্যা’কশনধ’র্মী ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামলো’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে আল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় ক’রেছেন পূজা হেগড়ে। ছবিটিতে আরও দেখা মিলিছে-জয়রাম, রাজেন্দ্র প্রসাদ, নীবিথা পিথুরাজ, সুনীল, মুরালি শর্মা, রাও রমেশ প্রমুখের।
আরো পড়ুন
মাত্র ১ ডজন আম বিক্রি করেই ভাগ্য খুললো কিশোরীর!
রাস্তায় দাাঁড়িয়ে আম বিক্রি করছিল একটি ছোট্ট মেয়ে। এমন সময় এক ব্যবসায়ী এসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেয় ১২টি আম। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায় সেই মেয়েটির।
আম বিক্রি করা সেই ছোট্ট তুলসি কুমারী ভারতের জামশেদপুরের বাসিন্দা। সেখানকার একটি সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে তাদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই ক্লাস করার জন্য একটি স্মার্টফোনের প্রয়োজন হয় তার। দরিদ্র পরিবারের সেই সামর্থ্য না থাকায় স্মার্টফোন কিনতে পারছিলেন না তুলসি।
জানা গেছে, তুলসি রাস্তায় আম বিক্রি করছিল। এসময় আমেয়া হেত নামের এক ব্যবসায়ী এসে তুলসির কাছে থাকা ১২টি আম ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় কেনেন।
ব্যবসায়ী আমেয়া জানিয়েছেন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পারেন তুলসি কুমারীর বিষয়ে। আর্থিক অনটনের জন্য তুলসির লেখাপড়া অনেকটাই বন্ধ হওয়ার পথে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তুলসিকে সহযোগিতা করবেন। তার কাছে সেই সুযোগও আসে। তাই তুলসি গ্রামে আম বিক্রির সময় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমগুলো কিনে নেন তিনি।
তুলসি জানিয়েছেন, আম বিক্রি করে কিছু কিছু টাকা সঞ্চয় করছিল একটি স্মার্টফোন কেনার জন্য। স্মার্টফোন কিনতে পারলেই তো সে ক্লাস করতে পারবে। তবে এখন সে স্মার্টফোন কিনতে পারবে এবং ক্লাসও করতে পারবে।
ব্যবসায়ী আমেয়া জানিয়েছেন, লেখাপড়ার জন্য তুলসির যে উৎসাহ সেটাই তাকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছিল। এ কারণে তুলসির সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার