দেশে ক’রো’নায় একদিনে ইতিহাসের সর্বোচ্চ শনাক্ত, মৃত্যুতে ফের রেকর্ড

দেশে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ক’রো’নাভা’ইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনের মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ সময়ে নতুন করে ক’রো’না আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮২২ জন। এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।

দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৩ জনে। মোট শনাক্ত সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জনে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে ক’রো’না আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৭ হাজার ৬৬৬ জন। যা এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। গতকাল একই সময়ে ক’রো’নাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়। দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৩৮৮ জনে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে ক’রোনাভা’ইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন
খুলনা মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার জীবাণু, ল্যাব বন্ধ

খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটিপিসিআর ল্যাব বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে ল্যাবের পরিবেশ ‘দূষিত’ হয়ে পড়ায় ল্যাব ও নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। ল্যাবটি চালু হওয়ার ১৫ মাস পর তিনদিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি এবং খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ৩০ জুন নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ল্যাব দূষণের বিষয়টি ধরা পড়ে। ৩০ জুন প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ নমুনা পরীক্ষায় সবগুলোই পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে ল্যাবটি দূষিত হয়েছে বলে প্রমাণ মেলে। এরপর ১ জুলাই থেকে ল্যাবটির কার্যক্রম তিনদিনের জন্য বন্ধ রেখে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, খুমেক হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে থাকা রোগীদের মধ্যে যাদের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।তিনি বলেন, ল্যাবটি বন্ধ থাকলেও মজুত প্রায় দুই হাজার নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডা. মেহেদী নেওয়াজ আরো বলেন, খুবিতে একদিনে মাত্র ৯৪টি নমুনা পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। খুমেকের আরটিপিসিআর ল্যাব থেকে কিট, রি-এজেন্ট নিয়ে এখানকার জনবল গিয়েই খুবির ল্যাব থেকে শুধু প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো করিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, পিসিআর ল্যাব স্বাভাবিক রাখতে প্রতি মাসে অন্তত একবার করে দূষণমুক্ত করা প্রয়োজন। কিন্তু খুমেকের পিসিআর ল্যাবটি গত বছর ৭ এপ্রিল থেকে চালুর পর কখনই এমনটি করা হয়নি। ল্যাবে প্রচুর চাপ ছিল। যে কারণে মাসে দু’দিন বন্ধ রাখা ছিল অসম্ভব।

তবে পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকলেও খুলনাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এন্টিজেন পরীক্ষা যথারীতি চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।

About reviewbd

Check Also

কৌতুক অভিনেতা ‘ভাদাইমা’ আর নেই

‘ভাদাইমা’ খ্যাত কৌতুক অভিনেতা আহসান আলী (৫০) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)। রোববার (২২ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *