ঘটনাটি খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ঘটনা। দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। রাস্তায় নেই কোন গাড়ি। এমতাবস্থায় দুই প্রবাসী ভাই পরেছেন খুবই দুরবস্থায়। কিভাবে যাবেন বিমান বন্দর, ওইদিকে সকাল ৯টায় ফ্লাইট।
ঠিক এমন সময় এক পুলিশ ভাইয়ের মহানুভবতার কথাই এখানে শেয়ায় করছি। ঘটনার বিস্তারিত বিদেশ গমনকারী এক ভাইয়ের মামার ওয়াল থেকে নেওয়া।
নিচে হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
আজ ০১/০৭/২০২১ ভাগীনা শহিদুলের সৌদি আরবের ফ্লাইট। সকাল ৯ টার সময় বিমানবন্দরে থাকতে হবে। আমরা ধানমন্ডির ৩২ এ আছি। কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না।পরে পুলিশ কে সব বললাম পুলিশ ও চেষ্টা করে ব্যর্থ হল। সে বললো আপনারা ফার্মগেটে যান ওখানে পেতে পারেন। কি আর করার ফার্মগেটে চলে এলাম।এখানে ও কোন গাড়ি পাচ্ছি না। অনেকক্ষণ চেষ্টা করলাম কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না।
হটাৎ দেখি এক পুলিশ মোটরসাইকেল নিয়ে আসতেছে মনে হল এস আই ।পুলিশ ভাইকে থামিয়ে সব বললাম। পুলিশ ভাই বললো ওকে উঠেন। আমি বললাম স্যরি স্যার বুঝি নাই। সে বলে আমার মোটরবাইকে উঠেন। প্রথমে বুঝতে পারি নাই কি বলে এইসব।
পরে আমরা দুজন অনেক কষ্টে উঠলাম। পুলিশ ভাই অনেক গতিতে গাড়ি চালিয়ে ১০-১২ মিনিেট বিমানবন্দরে নামিয়ে দিলো।গাড়ি থেকে নেমে আমার মুখে কোন কথা আসতেছে না। হা করে তাকিয়ে আছি উনার দিকে। পুলিশ ভাই বললো কি হয়েছে আপনার। আমি বললাম আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ জানাই ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ভাই বললেন এইটা আমাদের দায়িত্ব্য।
কিন্তু আমরা অনেকেই সঠিক দায়িত্ব্য পালন করি না। আমি বললাম ঠিক বলছেন ভাই।জিজ্ঞেস করলাম কোন থানায় আছেন। পুলিশ ভাই উত্তরা থানা।ভাই এর নাম আব্দুর রহমান। বললাম ভাই একটা সেল্ফি প্লিজ। বললে ওকে,আমি আজ মুগ্ধ। *আল্লাহ ভালো রাখুক এমন পরোপকার ভাইদের কে* আসলে সকল মানুষ এক নয়, ভালো মানুষ এখনো পৃথিবীতে