করোনাভাইরাসে পরিবারের আর্থিক অবস্থা নাজুক। ঘরে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো খাবাই নেই। অভাবের সংসারে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে কাজে আসেন স্কুলছাত্রী কম্পা রানী বর্মন। কাজে যোগদানের আট দিনের মাথায় কর্মস্থলেই পুড়ে ছাই হয়েছেন কম্পা।
রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড শোনে লকডাউনের শতবাধা পেরিয়ে মেয়ের লাশ নিতে ছুটে আসা বাবা পরভাচন্দ্র বর্মন শুক্রবার বিকেলে এসব কথা বলেন।
মৃত স্কুলছাত্রী কম্পা রানী বর্মন মৌলভীবাজারের চানপুর ৫নং আখাইলকুড়া ইউপির পরভা চন্দ্র বর্মনের মেয়ে।
বাবা পরভাচন্দ্র বর্মন আর্তনাদ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, করোনার মধ্যে সংসারে অভাব ও খাদ্য সংকট থাকায় পড়াশোনা থেমে যায় কম্পার। সংসারে অভাব বাড়ায় নানির সঙ্গে নরসিংদী খালার বাসায় বেড়াতে আসে সে।
পরে আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে গত ১লা জুলাই থেকে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে কাজে যোগ দেয় কম্পা। কোম্পানিতে ৪ হাজার ৮০০ টাকা মজুরিতে চাকরিটি পায় সে। কম্পা ভবনের চারতলায় কাজ করতো। কিন্তু আজ মেয়ে পরিবারের সদস্যদের ও নিজের ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে সবার ছোট কম্পার মৃত্যুতে মা পাগলপ্রায়। কোনোভাবেই পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছেই না। বাবা পরভা চন্দ্র বর্মনের অর্তনাদ আর চিৎকারে শোকে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের করিডোর।