দিনাজপুরের কাহারোলে স্কুলছাত্রীকে ধ;র্ষ;ণের পর হ;ত্যা করে মাটি চা;পা দেয়া মামলার আসামি সুমন চন্দ্র দাস (৩৩) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার দিনাজপুর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আশরাফুজ্জামান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি সুমন চন্দ্র দাস দিনাজপুর আমলী আদালত-৩ এর বিচারক শারমিন আক্তারের সামনে স্কুলছাত্রীকে প্রথমে ধ;র্ষ;ণ পরে হ;ত্যা;র ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।গ্রেপ্তার সুমন চন্দ্র দাশ দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার বড় পাহাড়পুর শাহাপাড়ার জগদীশ চন্দ্র দাশের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুজ্জামান আরো বলেন, সেদিনের ঘটনার পর থেকেই পুলিশ এক এক করে ৪৪ জনকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপরও হ;ত্যা;র কোনো কুল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে নিহত স্কুলছাত্রীর দাদী জানায়- পাশের গ্রামের বড় পাহাড়পুর শাহাপাড়ার সুমন প্রায়ই মেয়েটিকে উ;ত্যা;ক্ত করতো।
এমন কথার সূত্র ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সুমনকে ৬ জুলাই রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন আদালতে হাজির করলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা গেছে, মেয়েটি যখন প্রাইভেট পড়তে যায় ঠিক সেই সময় স্থানীয় তরলা বাজার এলাকার রাস্তা থেকে মুখ চে;পে ধ;রে পাশের পাটক্ষেতের ভেতর নিয়ে যায়। এরপর দঁ;ড়ি দিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁ;ধে তার শ্লী;ল;তা; হা;নি করে। এমন সময় মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে বাড়ি চলে যায় আসামি।
পরে রাত ৩টার সময় বাড়ি থেকে কো;দা;ল নিয়ে গিয়ে সেখানেই গর্ত খুড়ে মাটি চা;পা দেয় সুমন। সে সময়ও মেয়েটি বেঁচে ছিলো। পরে সুমন তাকে শ্বা;স রো;ধ করে হ;ত্যা করে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ২নং রসুপুল ইউনিয়নের বনড়া গ্রামের একটি বিলের পাশে থেকে মাটি চা;পা দেয়া প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর লা;শ উদ্ধার করে পুলিশ।