ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর এলাকার মেহগনি বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের পরিচয় মিলেছে। নবজাতকটি উপজেলার কার্শিপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর।
রোববার দুপুরের দিকে মেয়ে সন্তান প্রসব করে ওই ছাত্রী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নাবজাতকটিকে উপজেলার শিবনগর এলাকার একটি মেহগনি বাগানে ফেলে দেয় মেয়ের খালা। পরে শিবনগর এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে নবজাতক উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টির তদন্তে নামে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
উপজেলার কার্শিপুর গ্রামের নয়ন হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে একই গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তাদের শা;রী;রিক সম্পর্ক হয়। আর এতেই গর্ভবতী হয়ে যায় ওই ছাত্রী। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় নারী নি;র্যা;ত;ন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন স্কুলছাত্রীর মা। আর এ ঘটনায় নয়ন হোসেন নামে এক যুবককে বুধবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। নয়ন হোসেন উপজেলার কার্শিপুর গ্রামের মজনু হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, উপজেলার কার্শিপুর গ্রামের নয়ন হোসেন ও সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের শা;রী;রিক সম্পর্ক হলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রী। গত রোববার সন্তান প্রসবের পর একটি মেহগনি বাগানে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ নয়ন হোসেনকে আটক করেছে। ওই স্কুলছাত্রীসহ সবার ডিএনএ ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।