লাল শাড়ি আর মেহেদী পড়ে বিয়ের সাজে শ্বশুরবাড়ি যায় জামালপুরের বকশীগঞ্জের কিশোরী নূরানী বেগম। পরিবারের অভাব অনটন আর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় যে বয়সে সহপাঠিদের সঙ্গে ছুটাছুটি করে সময় পার করার কথা, সেই বয়সেই তাকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে।
কিন্তু বিয়ের ৬ মাস পার না হতেই নূরানী বেগম লা;শ হলো।রোববার ভােরে বাড়ির পাশে একটি আম গাছ থেকে তার ফাঁ;স দেয়া লা;শ উদ্ধার করা হয়।
নূরানী বেগম বকশীগঞ্জ পৌরসভার গােওয়ালগাঁও মধ্যে পাড়া এলাকার ভ্যানচালক নূরনবীর মেয়ে। সে গােয়ালগাঁও মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
শেরপুর জেলার শ্রীরবদী উপজেলার মাধবপুর এলাকার আওয়াল মিয়ার ছেলে গার্মেন্টস শ্রমিক সােলাইমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনদিন আগে নূরানী বেগম বাবার বাড়ি বকশীগঞ্জ আসে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেয়েটির লা;শ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অ;প;মৃত্যুর মামলা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।