সংসার জীবনে স্বামী থাকা সত্ত্বেও নিজ থেকে ছয় বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করার জন্য খু;ন;চ;ড়া হয়ে উঠেন রূপালী খাতুন। তার কাঙ্ক্ষিত কামনা বাসনা চরিতার্থ করতে স্বামী জাহিদুল ইসলামকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত-পা চেপে ধরে বালিশ চা;পা দিয়ে হ;ত্যা;র করে লা;শ বালুতে পুঁ;তে রাখেন।
পরে ঘটনার ১০ দিন পর গাজীপুর নগরীর কাশিমপুর শৈলডুবী এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষে বালুর নিচ থেকে লা;শ;টি উদ্ধার করে পুলিশ।মৃত জাহিদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার চর বোয়ালমারী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে মৃতের স্ত্রী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার বড়াই কান্দি গ্রামের শুকুর আলী দেওয়ানীর মেয়ে রূপালী খাতুন এবং তার প্রেমিক জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার নীলেরচর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোহাম্মদ সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অ;প;রা;ধ উত্তর) জাকির হাসান জানান, ভি;ক;টি;ম জাহিদুলের স্ত্রী রূপালী খাতুনের সঙ্গে প্রেমিক সুজন মিয়ার বিগত ৮-৯ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। রূপালী বেশ কয়েকবার স্বামী জাহিদুলকে ফেলে প্রেমিক সুজনের কাছে জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। এরই মধ্যে রূপালী তার স্বামী জাহিদুলকে হ;ত্যা;র করে প্রেমিক সুজনের সঙ্গে সংসার করার পরিকল্পনা করে।
পরে গত ৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে ভি;ক;টি;ম জাহিদুল বাসায় আসলে পরিকল্পনা অনুযায়ী রূপালী দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। রাত ১টার দিকে প্রেমিক সুজন ঘুমন্ত জাহিদের হাত পা চেপে ধরে এবং রূপালী তার স্বামীর উপরে চড়ে বালিশ চা;পা দিয়ে শ্বা;স;রো;ধ করে হ;ত্যা করে। পরে দুজনে মিলে বালির নিচে লা;শ চা;পা দেয়।
পরবর্তীতে গত শুক্রবার কাশিমপুর থানার পশ্চিম শৈলডুবী ছোফর উদ্দিন ছাফফুর নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষের বালুর নিচ থেকে জাহিদুল ইসলামের লা;শ উদ্ধার করা হয়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কুড়িগ্রাম এবং জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মৃতের স্ত্রী রূপালী খাতুন এবং তার প্রেমিক মোহাম্মদ সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।