করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি কমাতে জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ করেছে সরকার। এবার পোশাক কারখানাও বন্ধ করা হয়েছে। এবারের কঠোর লকডাউনে রফতানিমুখী পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা কারখানা খোলা রাখার অনুরোধ জানান। কিন্তু সরকার সেই অনুরোধ মেনে নেয়নি।
পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনার কারণে দুই সপ্তাহ কারখানা বন্ধ রাখায় বিদেশি ক্রেতারা হাত ছাড়া হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তৈরি পোশাকের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।আগামীতে আরো অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়ে যাবে। এতে নানাভাবে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শ্রমিক নেতারা বলছেন, কারখানা বন্ধের অজুহাতে শ্রমিকের জুলাই মাসের বেতন কম দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে পারেন মালিকরা। সেই রকম কিছু ঘটলে সরকারের হস্তক্ষেপ লাগবে।
করোনা সংক্রমণ কমাতে চলতি বছরের এপ্রিলে কঠোর লকডাউন জারি করা হলেও রফতানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা উৎপাদন চালানোর সুযোগ পায়। কিন্তু এবার সেই সুযোগ নেই।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে বিধিনিষেধ আগের চেয়ে কঠোর হবে। মাঠে থাকবে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি এ সেনা সদস্যরা থাকবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিস আদালত, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে। এ পর্যন্ত যত সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেভাবেই চলবে। যেহেতু মানুষের প্রয়োজন হবে না বাইরে আসার, আগে অফিস আদালতে যেতে হতো, গার্মেন্টস কারখানায় যেতে হতো, এবার তা হবে না। তাই গতবারের চেয়েও বিধিনিষেধ কঠোর থাকবে।