ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল কামরুন নাহার ও অভিভাভবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যকার ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
এতে দেখা যায় প্রিন্সিপাল এক পর্যায়ে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো … বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না আমি তাকে দেশছাড়া করব। ’
রেকর্ডটিতে ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড ধরে অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপু কথা বলেন। এতে অধ্যক্ষ এমন বিশ্রি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেছেন যা শোনারও অযোগ্য।
অডিওতে কামরুন নাহার দাবি করেন, তিনি ক্ষমতাসীন দলের সাবেক কর্মী। এ সময় তিনি নিজেকে ‘অভদ্র রাজনৈতিক মেয়ে’ বলে দাবি করেন। কেউ একজনকে ‘কোপানোর’ হুমকি দিয়ে ‘আগের চরিত্রে’ ফিরে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন ‘আমার বিরুদ্ধে যারা লেখে রাস্তায় পিটিয়ে তাদের কাপড় খুলে নেব।’
এদিকে এই কলরেকর্ডটি ভিত্তিহীন ও সুপার এডিট বলে দাবি করেছেন কামরুন নাহার। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এই রেকর্ডটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওরা আমাকে অন্যায়ে বাধ্য করতে না পেরে এইসব করছে।’
তিনি বলেন, ‘কলেজের সুবিধাভোগিরা বলেন ওদের কথা মতো নাকি আমাকে চলতে হবে। এর আগের প্রিন্সিপালকে তারা মোবাইল ছুঁড়ে মেরেছে। আমার বাসায় ঢিল মারে। আমার দরজায় লাথি মারছে। লাথি মেরে আমার চেয়ার ফেলে দিয়েছে। এখন এই রেকর্ড ছড়িয়ে দিয়েছে। এদের কারণে এর আগে কোনো প্রিন্সিপাল এখানে থাকতে পারেনি।’
এদিকে অধ্যক্ষ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছন সেই গভর্নিং বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, এই ফোনালাপ কলেজটির সুনামের ওপর আঘাত।
অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মজিদ সুজন বলেন, ‘কামরুন নাহার বেপরোয়া হয়ে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এই কলেজে এমন অধ্যক্ষ যায় না। তিনি স্বেচ্চাচারী, এটি নিয়ে তাকে কিছু বলা যাবে না। তার মুখের ভাষা কী বিশ্রি এটা এখন সবাই জানে। আপনারাই বলুন এমন মানুষ ভিকারুননেসার মতো কলেজের অধ্যক্ষ হয় কীভাবে?