পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়ে সরকারেরর এখন পর্যন্ত কোনো চিন্তাভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গার্মেন্টস ও রপ্তানিমুখী কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি। এসব কারখানায় লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করতো, এখন সেগুলো কমেছে। অযৌক্তিক কারণে কেউ বাইরে বের হলে এলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, বিধিনিষেধের মধ্যেও অনেক কলকারখানা চালু রাখা হয়েছে শুনিছি। কারা খুলছে- তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই। সে বিষয় নিয়ে আজকে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে তিনি বলেন, করোনা যে পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে গেছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য যা উপযুক্ত কৌশল, তা হচ্ছে বিধিনিষেধ।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে। এই সময়ে গার্মেন্ট, শিল্পকারখানা ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি অফিসের কাজ ভার্চুয়ালি হবে।