করোনা সংক্রমণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামীকাল ১ আগস্ট থেকে চালু হচ্ছে পোশাক কারখানা। এ ঘোষণায় গ্রামে আটকা পড়া শ্রমিকরাও সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে নানা উপায়ে ঢাকাসহ শিল্পাঞ্চলে ছুটছেন। তখনই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
সেখানে সভাপতি ফারুক হাসান জানান, রফতানিমুখী শিল্পের সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার আগামী ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প কারখানা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত রাখার জন্য গত ৩০ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই করোনা ক্রান্তিকালে রফতানিমুখী শিল্পের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এবং দেশ ও অর্থনীতি এবং জীবন ও জীবিকা দুটোই সমন্বয়ের স্বার্থে সব রফতানিমুখী শিল্প কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তবে কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এবং বিজিএমইএ কর্তৃক প্রদত্ত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো শ্রমিক-কর্মচারী কারখানায় কাজে যোগদান করতে না পারলে তাদের ওপর কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এ সময়ে কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আহ্বান করছি।
এছাড়া পোশাক শিল্পে কর্মরত সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করায় সরকারের প্রতি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি মনে করেন, রফতানি বাণিজ্যে গতি ধরে রাখতে শ্রমিকদের শতভাগ টিকার আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। তিনি জানান, শ্রমিকদের নিরাপত্তায় করোনার টিকার ব্যাপারে সহায়তা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেও আহ্বান করা হয়েছে।