মসলা হিসেবে লবঙ্গর জনপ্রিয়তা আছে বেশ। খাবারে সুগন্ধি এবং স্বাধের জন্য যেমন এর জনপ্রিয়তা তেমনি ঔষধী গুণও রয়েছে লবঙ্গর। দিনে মাত্র দুটি লবঙ্গ খেলে আপনার শরীর নানা ধরনের অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পাবে। জেনে নেয়া যাক লবঙ্গের গুণাগুণ।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রক্তের শ্বেত কনিকা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগ জীবণু ও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
২. যকৃত সুস্থ রাখে:
নিয়মিত লবঙ্গ খেলে যকৃত সুস্থ রাখে। দেহের বিভিন্ন দূষিত পদার্থ ধ্বংস করে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর :
লবঙ্গ খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়। খাওয়ার পরে দুটি লবঙ্গ মুখে রাখুন, এতে হজমের উন্নতি হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। শুধু তাই না বমি বমি ও গা গোলানো ভাবও দূর হয়।
৪. দাঁত ব্যথা দূর করে:
আমরা অনেকেই বিভিন্ন সময় দাঁত ব্যথায় কাতর হয়ে পরি। লবঙ্গতে আছে দাঁত ব্যথা কমানোর বিশেষ উপাদান। যখন অসহ্য ব্যথা হয় তখন লবঙ্গ পিষে সেই রস ব্যথা হওয়া দাঁতের গোড়ায় আঙুলের ডগা দিয়ে মালিশ করুন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে যাবে।
৫. ব্যথা দূর করে:
মাথা ব্যথা কিংবা শরীরে ব্যথা হলে সেটা সাড়াতে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী। লবঙ্গতে আছে ব্যথানাশক (অ্যানালজেসিক) ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তা মাথা ব্যথা চলে লবঙ্গ চা খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৬. হাড় ও জয়েন্টের জন্য উপকারি:
লবঙ্গে আছে ফ্লাভোনয়েড, ম্যাঙ্গানিজ এবং ইউজেনল উপাদান যা হাড়ের পুষ্টি উপাদান বাড়িয়ে হাড় ও জায়েন্ট সুস্থ রাখে।
৭. জ্বরের চিকিৎসায় কাজে আসে:
লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।
৮. ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারি:
লবঙ্গ ডায়বেটিস রোগিদের জন্য অনেকটা ইনসুলিনের মতো। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে দেহ সুস্থ রাখে।
৯: ব্যাক্টেরিয়া দূর করে:
মুখের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া ও জীবানু দূর করতে সহায়তা করে। লবঙ্গের সাথে পুদিনা পাতা ও টি ট্রি ওয়েল দিয়ে তৈরি ভেষজ মাউথ ওয়াষ ২১ দিন ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি জীবাণুও ধ্বংস করে।
১০. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট :লবঙ্গে আছে পলিফেনল। এই উপাদান শরীরের জন্য ১৫০ টির বেশি কাজে লাগে। লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ক্যান্সার এজেন্ট। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে লবঙ্গ চা জায়গা করে নিলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে ক্যান্সার নিরোধক উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।