রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বুঝতে পেরে স্বজনদের জানান উপজেলার হরিপুরের এক যুবক। পরে শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে কিশোরীর সাবেক প্রেমিককে আসামি করে মামলা করেন।
গত ১৫ জুলাই ওই যুবকের সঙ্গে পাশের তুলশীপুর গ্রামের ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের ১৫ দিন পর স্বামী বুঝতে পারেন তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বাঘার থানার ডিউটি অফিসার এসআই কুদ্দুস জানান, বিয়ের ১৫ দিন পর বাদীর (শ্বশুর) জামাই জানতে পারেন তার বিবাহিত স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরে কোরবানির ঈদের পর নতুন জামাই তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। পরে তিনি শ্বশুড়বাড়ির সবাইকে জানায় স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সংবাদ। এ সংবাদে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেয়ের পরিবার।
তিনি বলেন, পরদিন উপজেলা সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করিয়ে তারা জানতে পারেন মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের আগে একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সূত্রে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন বলেন স্বজনদের জানান।
এসআই কুদ্দুস জানান, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মামলার পর থেকে আসামি সোহেল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বলেন, সোহেল জোরপূর্বক এঘটনাটি ঘটিয়েছে। বিষয়টি কাউকে জানালে সোহেল বাবাকে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছিল। এ কারণেই বিষয়টি গোপন রাখি।