শামীম আর তায়েবা দু’জন দু’জনকে ভালবেশে বিয়ে করেছিল। শামিম মালয়শিয়া প্রবাসী পিতা-মাতাকে না জানিয়েই বিয়ে করেন তায়েবাকে। বিদেশ থেকে সরাসরি বন্ধুর বাসা বগুড়ায় গিয়ে বিয়ে করলেও পরিবারকে জানান তিনি মালয়েশিয়া আছেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিয়ের ঘটনা জানার পর শামীম তার স্ত্রীকে দূরে ঠেলে দিতে স্ত্রীর সহিত দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ ছবি ফেইস বুকে পোষ্ট করে শেয়ার করে।
স্বামী শামীম হোসেন মোল্লা, পিতা: তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সাং- রাউৎভোগ, মোল্লাবাড়ী, পোষ্ট: রাউৎভোগ, থানা: টঙ্গীবাড়ি, জেলা: মুন্সীগঞ্জ বিগত ১৫/১২/২০১৮ইং বিয়ে করার পর বিভিন্ন তালবাহানা করে স্ত্রী তায়বার নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
দাম্পত্য জীবন ও শারীরিক মিলনের সময় প্রতারনার মাধ্যমে স্বামী শামীম তার ব্যবহৃত মোবাইলে ছবি তুলে রাখে। পরবর্তীতে স্ত্রীর মায়ের নিকট হইতে টাকা নিয়া শামীম বগুড়ায় জমি ক্রয় করে। সেই জমিতে ঘড় নির্মানের জন্য দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে শামীমের পরিবার।
স্বামী যৌতুকের টাকা না পেয়ে পরস্পর যোগসাজসে প্রতারনা করার উদ্দেশ্যে নিজের পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশ ধারন করে ইলেকট্রনিক ডিভাইজ ব্যবহার করে দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ ছবি গুলো ফেইস বুকে প্রকাশ ও শেয়ার করে দেয়।
তাছাড়া ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা জানিয়াও বিভিন্ন আক্রমনাত্মক , মিথ্যা তথ্য উপাত্ত প্রেরন ও প্রকাশ করে। যা মানহানী কর মিথ্যা।এই ঘটনায় স্ত্রী বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করিলে স্বামী শামীম তার ভাই শাকিল, শাহীন বাদীকে বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে স্ত্রী অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী তায়েবা আক্তার জানান, আমার স্বামী প্রথমে স্বীকার করে যে সে ছবি গুলো ফেইসবুকে নিজে পোষ্ট ও শেয়ার করেছে। পরবর্তীতে আমাকে বলে আমার দায়েরকৃত মামলাটি উত্তোলন করে নিতে নইলে টাকা পয়সা খরচা করে আমাকে দুনিয়া থেকে উধাও করে দিব বলে হুমকি দেয়।
গত ১ আগষ্ট শামীম মালয়শিয়া থেকে ফোন করে জানান, আমি তোকে ডিভোর্স দিয়েছি তিন দিনের মধ্যে কাগজ হাতে পাবি। পাওয়ার পর যদি এক বাপের জন্মের হস স্বাক্ষর করে রাখবি। তার পর অশ্লিল ভাষায় বকাবকি করে। নিজেকে ছোটখাট প্রিন্স দাবী করলেও সে মিস্ত্রি কাজ করে।
ধীপুর ইউনিয়ন কাজী মনির হোসেন জানান, বিদেশ থেকে তালাক প্রদানের নিয়ম ভিন্ন প্রক্রিয়া, মুখে বললেই হলো না। সিনিয়র আইনজীবী আফজাল হোসেন মৃধা জানান, বিদেশ থেকে ডিভোর্সের বিষয়টি জটিল প্রক্রিয়া, চাইলেই যে কেউ ডিভোর্স দিতে পারবে না। নিয়ম-কানুন মেনে সময় সাপেক্ষ ভাবে তা দিতে হবে।