কেউ দেন পায়েসে, কেউ ধোঁয়া ওঠা পোলাওয়ে। অনেকে আবার বিরিয়ানি স্পেশ্যাল করতেও উপরে ছড়িয়ে দেন। যেখানেই পড়ুক না কেন, স্বাদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। অনেকে আবার খাবার প্লেটে আলাদা করে পাশে রেখে দেন। যাতে
খাওয়ার শেষে কিসমিসের টকমিষ্টি স্বাদটা মুখে থেকে যায়। তবে কেবল স্বাদেই অতুলনীয় নয় ছোট এই ড্রাই ফ্রুট, তার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। বিশেষ করে মহিলাদের তো রোজই নিয়ম করে কিসমিস অথবা কিসমিস ভেজানো জল খাওয়া উচিত। কারণ-
সমীক্ষা বলছে প্রত্যেক মহিলার দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পাবে কিন্তু কোনও ফ্যাট থাকবে না।
কিসমিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আর এর মিষ্টত্ব শরীরকে শক্তি জোগায়। এতে কর্মক্ষমতা বাড়ে।
বেশিরভাগ মহিলার শরীরে আয়রনের কমতি থাকে। তাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন। এমন সমস্যায় কিসমিস ভীষণ উপকারে লাগে। এতে প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকে।
ছোট্ট এই ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও থাকে। যা পেশি সংকোচনের হার কমিয়ে দেয়। আবার স্নায়ুতে রক্তপ্রবাহের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। হৃৎপিণ্ডের সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদের তো রোজ কিসমিস খাওয়া উচিত। কারণ তা হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিসমিস রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও কিসমিস ভীষণ উপকারি। শুধু কিসমিস কেন কিসমিস ভেজানো জল খেলেও এই একই উপকার পাওয়া যায়। কেমন করে বানাবেন এই কিসমিস ভেজানো জল?
প্রথমে একটি পাত্রে দুই কাপ জল নেবেন। তাতে দেড়শো গ্রাম কিসমিস দিয়ে সারারাত রেখে দেবেন। জলে দেওয়ার আগে কিন্তু কিসমিসগুলো একবার অবশ্যই ধুয়ে নেবেন।
পরদিন সকালে কিসমিস ছেঁকে নিয়ে জলটি হালকা গরম করে নেবেন।
ব্যস, ওই জলটি খেয়ে নেবেন। তবে কিসমিস ভেজানো জল খাওয়ার পরের আধ ঘণ্টায় কিছু খাবেন না। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এভাবে কিসমিস ভেজানো জল খেলে, প্রভাব নিজেই বুঝতে পারবেন।