মাদরাসার পাশেই নানার বাড়ি। তাই রাত ৮টার দিকে নানিকে দেখতে যাচ্ছিল ১২ বছর বয়সী আবাসিক ছাত্রীটি। কিন্তু পথেই হলো সর্বনাশ। শিশুটিকে কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে ইটভাটায় ফেলে রেখে যান দুই যুবক। রাত ১১টার দিকে কাতরাতে কাতরাতে হেঁটেই মহাসড়কে ওঠে শিশুটি। এরপর টহল পুলিশের কাছে ভয়ানক ঘটনার বর্ণনা দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আলাদীপুর পূর্বপাড়ায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।
আসামিরা হলেন- উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ২৫ বছর বয়সী ছেলে দুলাল ইসলাম ও একই গ্রামের আলম মিয়ার ২৪ বছরের ছেলে মিনহাজুল মিয়া।
পুলিশ জানায়, মেয়েটি স্থানীয় একটি হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্রী। সে মাদরাসায় আবাসিকে থেকে পড়াশোনা করে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মাদরাসা থেকে পাশেই নানাবাড়ি আলাদীপুর পূর্বপাড়ায় যাচ্ছিল শিশুটি। এ সময় তার পথরোধ করেন দুলাল ও মিনহাজুল। পরে তাকে কাঁধে করে পাশের কলাবাগানে নিয়ে যান তারা। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পাশের ইটভাটায় ফেলে রেখে যান। ধর্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে।
এরপর জ্ঞান ফিরলে পায়ে হেঁটে বগুড়া-জয়পুরহাট মহাসড়কে উঠে টহল পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয় শিশুটি। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা নেয়া হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিকেম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।