তা’লেবান বাহিনী আ’ফগা’নিস্তান দখলের পর দেশটি থেকে অনেক মানুষ মা’র্কিন বিমানে করে ;পালানো শুরু করেন। কিন্তু বিমানের; ভেতরে জায়গা না থাকায় চাকা ধরেই অনেকে যাত্রা করেন।
সোমবার কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড্ডয়নের খানিক পরই দুই আ’ফগা’ন তরুণ নিচে পড়ে মা’রা যান। আর কয়েক ঘণ্টা পর আ’মেরিকান সি-১৭ পরিবহণ বিমানের চাকায় আরেক আ’ফগা’ন তরুণের তার লা”শ পাওয়া যায়।
শুধু কাবুল নয়, এর আগেও বিশ্বে ১১৩টি ‘স্টো অ্যাওয়ে’র ঘটনা ঘটেছে। তবে তার মধ্যে অধিকাংশই ব্যর্থ। এই ধরনের ভ্রমণ করতে গিয়ে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৮৬ জন।
তবে এমন বিমানের চাকায় ভ্রমণকালে খুব অল্প সংখ্যায় হলেও বেঁচে গেছেন হাতে গোনা কয়েকজন। তাদের মধ্যে একজন ভা’রতীয় নাগরিক। তার নাম প্রদীপ সাইনি।
১৯৯৬ সালের অক্টোবরে প্রদীপ ও তার ছোট ভাই বিজয় গো”পনে উঠে বসেন ব্রি;টিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৪৭ বিমানের চাকার ফাঁকে। নয়াদিল্লি থেকে বিমানটি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।
হিথরোয় নামা’র আগেই ঠান্ডা জমে যাওয়া বিজয়ের দেহ বিমান থেকে মাটিতে পড়ে যায়। পাশেই ছিলেন প্রদীপ। তিনি বেঁচে যান। হিথরোর রানওয়েতে পড়ে থাকা অবস্থায় প্রদীপকে উ’দ্ধার করেছিলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।
পাঞ্জাবের গাড়ি মেকানিক প্রদীপের বয়স তখন ২২। তার ভাই বিজয় ১৮ বছরের তরুণ। দু’জনকেই শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। প্রা’ণের ভ’য়েই লন্ডনে পা;লিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুই ভাই।
৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চার হাজার মাইল পথ অ’তিক্রম করেছিলেন দুই ভাই। এর উপর ওই উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবও ছিল। পরে এক সাক্ষাৎকারে ভ্রমণের বর্ণনা দিয়ে প্রদীপ বলেছিলেন, ১০ ঘণ্টার সেই ভ’য়ঙ্কর অ’ভিজ্ঞতা এখনও তাড়া করে আমাকে।
তবে ওই ভ্রমণ প্রদীপকে সবদিক থেকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। ছোট ভাইকে সামনে থেকে মৃ”ত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছিলেন তিনি।
শা”রী”রিকভাবেও বি”ধ্বস্ত হয়েছিলেন প্রদীপ। দীর্ঘদিন কানে শোনার সমস্যায় ভুগেছেন। গাঁটের যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতেন মাঝে মধ্যেই। সূত্র: আনন্দবাজার।