যেকোনো মানুষের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাদের ত্বক।এই ত্বক বা চেহারাকে সুন্দর রাখার জন্য আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করে থাকি।বাজার চলতি এই পদার্থগুলো আমাদের সৌন্দর্যকে ধরে রাখলেও আমাদের ত্বকের নানাভাবে ক্ষতি সাধন করে। যার ফলস্বরুপ দ্রুত আমাদের ত্বক অতিরিক্ত বয়স্কভাব ধারণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে চেহারায় বিভিন্ন ধরনের দাগ ছোপ প্রভৃতি লক্ষ্য করা যায়।
কারন বাজার চলতি এইসব প্রসাধনী দ্রব্যের মধ্যে নানান ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে দেওয়া হয়। গন্ধ এবং বর্ণের পরিবর্তন করার জন্য মেশানো এই রাসায়নিক পদার্থ গুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
যাইহোক এসব রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত দ্রব্যগুলি ব্যবহার না করে খুব সহজেই বাড়িতে ঘরোয়া উপায়ে আপনি নিজের ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।এই উপায়গুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই নিখুঁত মসৃণ ও উজ্জ্বল চকচকে ত্বক আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন।
আমরা নিজেদের চেহারাকে ফর্সা এবং উজ্জ্বল বানানোর জন্য নানান ধরনের ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করি। কিন্তু এই ক্রিমগুলো যতটা সম্ভব ব্যবহার না করাই উচিত।কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অতিরিক্ত ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বক অত্যন্ত কালো হয়ে গিয়েছে।
যদি আপনার ত্বক ধুলাবালির কারণে,বা পরিবেশ দূষণের প্রভাবে অত্যধিক রুক্ষ— শুষ্ক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে নিম্নলিখিত পদ্ধতি গুলি আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মাত্র ৩ টাকা খরচ করলেই আপনি আপনার সৌন্দর্য সঠিকভাবে বজায় রাখতে পারবেন। বাজার থেকে ৩ টাকায় ভিটামিন-ই ক্যাপসুল কিনে নিয়ে এসে সেটির মধ্যে ছিদ্র করে ভেতরের তরল পদার্থ বের করে নিন।
এরপর এই তরল পদার্থের মধ্যে বাদাম তেল মিশিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ভালো করে বাদাম তেল মিশিয়ে নেওয়ার পর মিশ্রণটি তৈরি হয়ে যাবে। এরপর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিশ্রণটি সম্পূর্ণ চেহারায় হালকা করে ম্যাসাজ করুন। সারা রাত এটি ত্বকে থাকার পর সকালে পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন।
প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে এভাবে ম্যাসাজ করলে সহজেই আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চাইলে এই ভিটামিন ক্যাপসুল আপনি স্বাভাবিক ওষুধের মত খেতেও পারেন। এতে আপনার শরীরের ওপর অত্যন্ত ভালো প্রভাব পড়বে। তবে অবশ্যই আপনার শরীরে কোনোরকম আগে থেকে সমস্যা আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে। তাই এই ক্যাপসুলটি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।